প্রোটিয়াদের বিপক্ষে ২৭০ রানের লড়াকু সংগ্রহ পাকিস্তানের

বাবর আজম আর সৌদ শাকিলের অর্ধ শতকে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ২৭০ রানের লড়াকু সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছে পাকিস্তান।

শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) চেন্নাইয়ের চিদাম্বরাম স্টেডিয়ামে টসে জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় পাকিস্তান। ব্যাটিংয়ে নেমে অবশ্য শুরুটা খুব বেশি ভালো হয়নি পাকিস্তানের। দলীয় ৩৮ রানের মধ্যেই সাজঘরে ফেরেন দুই ওপেনার আব্দুল্লাহ শফিক এবং ইমাম উল হক। ১৭ বলে ৯ রান করেন শফিক। অন্যদিকে ইমাম খেলেন ১৮ বলে ১২ রানের ইনিংস।

এরপর দলের ত্রাতা হয়ে আসেন বাবর আজম এবং মোহাম্মদ রিজওয়ান। দুজন মিলে প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন। ব্যাট হাতে দুজনেই ছিলেন বেশ সাবলীল। তৃতীয় উইকেটে রিজওয়ান এবং বাবর মিলে যোগ করেন ৪৮ রান। ২৭ বলে ৩১ রানের ইনিংস খেলে দলীয় ৮৬ রানের মাথায় বিদায় নেন রিজওয়ান।

রিজওয়ান ফিরলেও ক্রিজে অটল ছিলেন বাবর। এক প্রান্তে আগলে রেখে দারুণভাবে খেলে যাচ্ছিলেন তিনি। মাঝে ইফতিখার নেমে ৩১ বলে ২১ রানের ইনিংস খেলে সাজঘরে ফিরে যান। তবে বাবরকে থামানো যাচ্ছিল না। কার্যকরী ব্যাটিংয়ে দারুণ এক ফিফটি তুলে নেন তিনি।

তবে ফিফটির পরেই থেমেছেন বাবর। ৬৫ বলে ৫০ রানের ইনিংস খেলে সাজঘরে ফিরে যান পাকিস্তানের অধিনায়ক। দলের রান তখন ১৪১। বাবরের আউটের পর দলের ইনিংসকে টেনেছেন শাদাব খান এবং সৌদ শাকিল। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে রানের গতি বাড়িয়েছেন শাদাব এবং শাকিল। অযথা ঝুঁকি না নিয়ে এগিয়েছেন সময় সুযোগ বুঝে। দুজনেই ফিফটির খুব কাছে চলে গিয়েছিলেন। তবে ফিফটির খুব কাছে গিয়ে হতাশায় পুড়েছেন শাদাব। ৩৬ বলে ৪৩ রানের ইনিংস খেলে দলের ২২৫ রানের মাথায় আউট হন শাদাব খান, ফিফটিটাও আর ছোঁয়া হয়নি। ৬ষ্ঠ উইকেট জুটিতে দুজন মিলে যোগ করেন ৮৪ রান।

তবে সঙ্গী শাদাব ফিফটি ছুঁতে না পারলেও ঠিকই ফিফটি তুলে নেন শাকিল। দেখেশুনে খেলে নিজের ওয়ানডে ক্যারিয়ারের তৃতীয় ফিফটির দেখা পান তিনি। তবে অধিনায়ক বাবরের মত করে ফিফটির পরপর থেমেছেন শাকিলও। সাজঘরে ফেরার আগে ৫২ বলে ৫২ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেন শাকিল। এছাড়া শেষ দিকে ঝড় তোলেন মোহাম্মদ নওয়াজ। তার ২৪ বলে ২৪ রানের কার্যকরী ইনিংসের ফলে ২৫০ পার করে পাকিস্তান। শেষমেশ ৪৬.৪ ওভারের খেলা শেষে ২৭০ রান তুলে অলআউট হয় পাকিস্তান।

দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে ৪ উইকেট শিকার করেন তাবরিজ শামসি। ৩ উইকেট নেন মার্কো ইয়ানসেন। ২ উইকেট তোলেন কেশভ মহারাজ। অন্যদিকে ১ উইকেট ঝুলিতে পুড়েছেন লুঙ্গি এনগিডি।