দ্রব্যমূল্য পরিস্থিতি ও আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ে এসএমপির বিশেষ সভা

দ্রব্যমূল্য পরিস্থিতি ও আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১১ টায় এসএমপি হেডকোয়ার্টার্স কনফারেন্স রুমে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার জনাব মোঃ জাকির হোসেন খান, পিপিএম।

সভায় সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং ছয়টি থানার অফিসার ইনচার্জ ছাড়াও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তা, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক, সিনিয়র কৃষি বিপণন কর্মকর্তা, সিলেট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি, মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির পরিচালক এবং সিলেট মহানগরীর বিভিন্ন বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এবং পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

সভায় পুলিশ কমিশনার বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বিষয়টি একটি জাতীয় ইস্যু। সিলেট মহানগরী এলাকায় নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের বর্তমান বাজার পরিস্থিতি, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণ অনুসন্ধান এবং এর পিছনে কোন কোন শক্তি রয়েছে সেগুলো পর্যালোচনা করে দ্রব্যমূল্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে।

তিনি বলেন, পণ্য পরিবহনে চাঁদাবাজি এবং পণ্যবাহী গাড়ি ছিনতাই কাজে যে জড়িত থাকুক তাকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।

তিনি আরো বলেন, সোবহানীঘাট পাইকারি সবজি মার্কেট সিলেট মহানগরীর যানজট সৃষ্টির একটি অন্যতম কারণ। একারণে ব্যবসায়ীদের মতামতের ভিত্তিতে মহানগরীতে পণ্যবাহী পরিবহন প্রবেশের সময় রাত ১০ টা এবং কাঁচামাল ও সবজি পরিবহনকারী বড় যানসমূহের পণ্য খালাস সম্পন্ন করার সময় সকাল ৮ টার মধ্যে নির্ধারণ করে দেন। এছাড়াও ছোট ট্রাক এবং ঠেলাগাড়ি সকাল ৮.৩০ ঘটিকার মধ্যে তাদের কার্যক্রম শেষ করার তাগিদ দেন তিনি। এসএমপি কমিশনার বলেন, মহানগর এলাকায় কোন ইঞ্জিনচালিত রিকশা চলাচল করবে না।

এছাড়াও দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে বাজারের প্রতিটি দোকানে যাতে মূল্যতালিকা প্রদর্শন, পাকা রশিদ প্রদান নিশ্চিতের পাশাপাশি ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাকে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করতে বলেন কমিশনার।

তিনি মহানগরীর বিভিন্ন বাজারগুলোতে চাঁদাবাজি, ছিনতাই ও হয়রানি রোধে বাজারগুলোকে সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় নিয়ে আসা, মোবাইল টিমের সংখ্যা বৃদ্ধি, পিকেট ডিউটিতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েনসহ অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার উত্তর ও দক্ষিণ এবং ৬ থানার অফিসার ইনচার্জকে তাৎক্ষণিক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ প্রদান করেন।