বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচ। তাই ডাকওয়ার্থ লুইস পদ্ধতিতে বাংলাদেশের জয়ের লক্ষ্য ছিল ৭ ওভারে ৪১। সেই লক্ষ্যে খেলতে নেমে সমান তালে লড়ছিল বাংলাদেশ। কিন্তু শেষ দুই ওভারে খেই হারিয়ে নারী এশিয়া কাপে শ্রীলঙ্কার কাছে ৪ রানে হেরেছে স্বাগতিক দল। নিগারদের চেষ্টা থাকলেও চাপের কাছে নতি স্বীকার করায় শেষ পর্যন্ত কিছুতেই কিছু করতে পারেনি। রান তোলার তাড়া দেখাতে গিয়ে ৪ ব্যাটার সীমানায় ক্যাচ আউটের শিকার হয়েছেন। ফলে ৭ ওভারে ৪১ রানের বদলে বাংলাদেশ করতে পেরেছে ৩৭ রান।
বাংলাদেশ দল মূলত শেষ দুই ওভারেই ম্যাচ হেরেছে। ওই সময় বাংলাদেশের প্রয়োজন আর ১৪ রান। কিন্তু ৬ষ্ঠ ওভারে লঙ্কান বাঁহাতি স্পিনার ইনোকা রানাবীর ওভারে চার উইকেট হারিয়ে খেই হারিয়ে ফেলে স্বাগতিক দল। রুমানা আহমেদ, নিগার সুলতানা ও সুবহানা মোস্তারিকে ফেরানোর পর তার ওভারে ফাহিমা খাতুনও রান আউট হন। শেষ ৬ বলে ১১ রান প্রয়োজন পড়লেও বাংলাদেশের ব্যাটাররা সেই লক্ষ্য ছুঁতে পারেননি। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ১২ রান আসে নিগার সুলতানার ব্যাট থেকে।
লঙ্কান বোলারদের মধ্যে ইনোকা রানাবীর ২ ওভারে ৭ রান খরচায় ৪ উইকেট শিকার করেছেন। মূলত তার ঘূর্ণিজাদুতেই ধস নামে বাংলাদেশের।
এর আগে টসে জিতে পাওয়ার প্লেতেই শ্রীলঙ্কাকে চেপে ধরে স্বাগতিক দল। পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে এক উইকেট হারিয়ে লঙ্কানদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ২৩। দুই ম্যাচ পর একাদশে সুযোগ পাওয়া অভিজ্ঞ পেসার জাহানারা প্রথম ওভারেই সাফল্য পেয়েছেন। জাহানারার ফুলার লেন্থের বল সুইং করে কিছুটা ভেতরে ঢোকে। লঙ্কান ওপেনার চামিরা আতাপাত্তুর (১) স্ট্যাম্প উপরে যায় সঙ্গে সঙ্গে।
অষ্টম ওভারের শেষ বলে সানজিদা ইসলাম মেঘলার শিকার হন হর্ষিতা সামারাবিক্রমা। ৩১ বলে ১৮ রান করে বাঁহাতি এই স্পিনারের ঘূর্ণিতে পরাস্ত হন হর্ষিতা। পরের ওভারে নিজের প্রথম বলেই উইকেট পান লেগ স্পিনার রুমানা। বাংলাদেশের এই স্পিনারের শর্ট লেন্থের নিচু হওয়া বলটি ঠিক মতো খেলতেই পারেননি আনুশকা সঞ্জীওয়ানি। ১৩ বলে ৮ রান করেন উইকেটকিপার এই ব্যাটার। চতুর্থ উইকেটে হাসিনি পেরেরা ও নীলাক্ষী ডি সিলভা মিলে ২৯ রানের জুটি গড়ে প্রাথমিক বিপর্যয় সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু আরেক লেগ স্পিনার ফাহিমা খাতুনের বলে মিড উইকেটে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন হাসিনি (১১)। নীলাক্ষীর দারুণ এক ইনিংসের ওপর ভর করেই শ্রীলঙ্কা বৃষ্টির আগ পর্যন্ত ৫ উইকেট হারিয়ে ৮৩ রান করতে পারে।
বৃষ্টির কারণে ১০ টা ১৮ মিনিটে খেলা বন্ধ হয়। বৃষ্টি কমার পর মাঠ পরিচর্যা করে খেলা শুরুর সময় ঠিক করা হয় ১১ টা ৫০ মিনিট। প্রায় দুই ঘণ্টা পর খেলা শুরু হলে ডাকওয়ার্থ লুইস পদ্ধতিতে বাংলাদেশের লক্ষ্য দাঁড়ায় ৭ ওভারে ৪১ রান।
বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে রুমানা সর্বোচ্চ দুটি উইকেট নিয়েছেন। জাহানারা, মেঘলা ও ফাহিমা একটি করে উইকেট নেন।