সুনামগঞ্জের হাওরে এখন বোরো ধান কাটার মৌসুম। তবে জেলার তাহিরপুর উপজেলায় দেখা দিয়েছে শ্রমিক সংকট। ব্যাহত হচ্ছে পুরোদমে ধান কাটা। ফলে পাহাড়ি ঢল আসার আগেই সময়মতো ধান কাটা শেষ হবে কি না এ নিয়ে হাওরের কৃষকদের মধ্যে দেখা দিয়েছে সংশয়। তবে জেলা প্রশাসন বলছেন, তাহিরপুরের হাওরে ধান কাটার কাজে কোনো শ্রমিক সংকট নেই।
এদিকে কৃষকের কষ্টার্জিত ফসল বোরো ধান কাটা শেষ না হওয়া পর্যন্ত উপজেলার ফাজিলপুর বালুমহালের বালু উত্তোলনের কাজ বন্ধ রাখার দাবি উঠেছে।
জানা গেছে, জেলা প্রশাসনের উদ্যেগে প্রতি বছর এ অঞ্চলের হাওরগুলোর বোরো ধান যেন দ্রুত সময়ের মধ্যে কাটা শেষ করে কৃষকরা ধান ঘরে তুলতে পারেন এ দিকটি বিবেচনা করে বালুমহালের বালু উত্তোলনের কাজ বন্ধ রাখা হয়। কিন্তু এ বছর তাহিরপুরের ফাজিলপুর বালুমহালের কাজ এখনও চলমান রয়েছে। যেখানে প্রতিদিন হাজার হাজার শ্রমিক বালু উত্তোলনের কাজে নিয়োজিত আছেন। এতে কৃষক ও কৃষি সংশ্লিষ্ট নেতারা ধান কাটা ব্যাহত হবার আশঙ্কা করছেন। তারা জানান, বালুমহালের কাজ এভাবে চলতে থাকলে হাওরে নিঃসন্দেহে শ্রমিক সংকট দেখা দিবে।
মাটিয়ান হাওরের কৃষক রউফ মিয়া (৩৯) জানান, প্রতি বছর হাওরে ধান কাটার সময় বালুমহাল বন্ধ রাখা হয়। সময় এখন ধান কেটে কৃষকের ঘরে তোলার। কিন্তু এ সময়ে ফাজিলপুর বালুমহালের কাজ চালু রাখা হয়েছে কার স্বার্থে তা বোধগম্য হচ্ছে না।
প্রতি বছর কৃষকের দিকটি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিবেচনা করে জেলা প্রশাসন জেলার সকল বালুমহালের কাজ বন্ধ রেখে শ্রমিকদের ধান কাটার কাজে উদ্বুদ্ধ করেন। এবারও বালু উত্তোলনের কাজ বন্ধ রেখে হাওরে গিয়ে ধান কাটার কাজে সবাইকে সম্পৃক্ত করার দাবি জানিয়েছেন জেলার কৃষক লীগের কয়েকজন নেতা।
সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী বলেন, হাওরে ধান কাটার কাজে পর্যাপ্ত ম্যান পাওয়ার আছে। এখনও কোনো শ্রমিক সংকট দেখা দেয়নি। বালুমহালের বিষয়টি মাথায় আছে, প্রয়োজন হলে কাজে লাগানো হবে।