সন্ত্রাস ও নাশকতা ছাড়াও জঙ্গি তৎপরতার বিষয়ে নিয়মিত হালনাগাদ তথ্য জানাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারদের। মাঠ পর্যায়ের এসব কর্মকর্তার বিশেষ কোনও মতামত বা সুপারিশ থাকলে সেটাও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের রাজনৈতিক শাখাকে জানাতে বলা হয়েছে।
কোরবানির ঈদের আগে জুনের প্রথম দিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে দেওয়া হয় এই নির্দেশনা। কারণ, আর কয়েক মাস পরই দেশে অনুষ্ঠিত হবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশে-বিদেশে নানামুখী ষড়যন্ত্র চলছে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সই করা নির্দেশনামূলক একটি প্রতিবেদন গত ৬ জুন পাঠানো হয় সব সংস্থার প্রধানদের কাছে। সেখানে বলা হয়েছে, ২০১৪ সালের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঠেকানোর জন্য সংঘটিত সন্ত্রাসী ঘটনায় জড়িত অপরাধীদের বিরুদ্ধে ২০১৩ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশের প্রচলিত আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছিল তিন হাজার ৭৮৬টি। এরমধ্যে অভিযোগপত্র দেওয়া হয় ৩ হাজার ৫৪৯টির। চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে ১৮৬টি মামলার। নানা কারণে এখনও তদন্ত শেষ হয়নি ৫১টি মামলার। এছাড়া ২০১৫ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ওই বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত সারা দেশে সহিংসতার ঘটনায় দায়ের হয়েছিল এক হাজার ৮২৬টি মামলা। অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে এক হাজার ৭৮৯টির, আর চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়া হয় ৩৩টি মামলার। ৪টি মামলা এখনও তদন্তাধীন রয়েছে। তদন্তাধীন মামলার তদন্ত দ্রুত শেষ করা, অভিযোগপত্র দেওয়া মামলাগুলোর বিচার প্রক্রিয়া মনিটরিং করা এবং স্থগিত মামলাগুলো সচল করার ব্যবস্থা নিতে পুলিশ সদর দফতরকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
গুলশানের হলি আর্টিজানে ২০১৬ সালের ১ জুলাই ঘটেছিল ইতিহাসের নজিরবিহীন ঘটনা। সেদিন বাংলাদেশে জঙ্গিদের মরণছোবল দেখেছিল গোটা দুনিয়া। বিদেশি নাগরিকসহ নৃশংস হতাহতের ঘটনায় স্তম্ভিত হয়ে পড়ে সর্বস্তরের মানুষ। এরপরই পুলিশ ও র্যাবসহ সব আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নতুন করে ঢেলে সাজানো হয়। জঙ্গিবাদ নিয়ন্ত্রণ ও দমনে নেওয়া হয় নানা পদক্ষেপ।∎
সিলেট ভয়েস/এএইচএম