আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টের প্রথম দিনের প্রথম সেশনটা নিজেদের করে নিয়েছিল বাংলাদেশ দল। লাঞ্চ বিরতিতে যাওয়ার আগে ৩ উইকেট হারিয়ে আয়ারল্যান্ড সংগ্রহ করেছিল ৬৫ রান। তবে লাঞ্চ বিরতি থেকে ফিরে ভালোই প্রতিরোধ গড়েছিলেন দুই ব্যাটার কার্টিস ক্যাম্পায়ার এবং হ্যারি টেক্টর। তবে পরপর ৩ উইকেট হারিয়ে আবারো চাপে পড়ে যায় আইরিশরা। চা পানের বিরতির আগে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৪৫ রান সংগ্রহ করেছে আইরিশরা। এখন পর্যন্ত বল করতে আসেননি অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।
এর আগে চতুর্থ উইকেটে ৭৪ রানের জুটি গড়েন ক্যাস্পায়ার এবং টেক্টর। তবে ব্যক্তিগত ৫০ রান মেহেদী মিরাজের বলে বোল্ড হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান টেক্টর। পরবর্তীতে ক্যাস্পায়ারকেও ফিরিয়ে দেন দেন তাইজুল ইসলাম। ৩৪ রানে থাকা অবস্থায় এই ব্যাটার লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে বিদায় নেন।
এরপর আবারো আইরিশ শিবিরে আঘাত হানেন তাইজুল। পিটার মুরকে ১ রানে থাকা অবস্থায় প্যাভিলিয়নের পথ ধরান এই স্পিনার। ১২৪ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ব্যাটিং ধসের কবলে পড়ে আইরিশরা। এই মুহূর্তে আইরিশদের টেনে তোলান দায়িত্ব নিয়েছেন লরকান ট্যাকার এবং অ্যান্ড্রি ম্যাকব্রিন।
এর আগে মঙ্গলবার মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিং বেছে নেন অ্যান্ডি বালবার্নে। তবে দলীয় ১১ রানের মাথায় ওপেনার মারে কামিন্স ফিরে যান। মাত্র ৫ রানেই শরিফুল ইসলামের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন এই ওপেনার। এরপর প্রথম ধাক্কা সামলানোর আগেই এবার আইরিশ শিবিরে আঘাত হানেন এবাদত হোসেন। দলীয় ২৭ রানের মাথায় তিনি জেমস ম্যাককালামকে ১৫ রানে বিদায় করেন।
দ্রুত উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় আয়ারল্যান্ড। তবে সেই চাপ থেকে দলকে মুক্ত করতে ব্যাট হাতে লড়াই করতে থাকেন অধিনায়ক অ্যান্ড্রু বালবার্নি ও হ্যারি টেক্টর। তবে এই জুটিও বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। দলীয় ৪৮ রানে তৃতীয়বারের মাতো আইরিশ শিবিরে ধাক্কা দেয় টাইগাররা। স্পিনার তাইজুল ইসলাম ফেরান আইরিশ অধিনায়ক বালবার্নিকে। আউট হওয়ার আগে তিনি ১৬ রান করেন।