ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সিলেট বিভাগীয় পরিচালক মো. মহিউদ্দিন বলেছেন, বিগত ৫০ বছরে বাংলাদেশে শিশু ও মাতৃমৃত্যুহার কমেছে। দক্ষিণ এশিয়ায় উন্নয়নশীল দেশের মধ্যে শিশু ও মাতৃমৃত্যুহার হ্রাসে বাংলাদেশ সবচেয়ে এগিয়ে। সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি (ইপিআই), পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রশিক্ষিত ইমামদের ভূমিকার কারণে শিশু ও মাতৃমৃত্যুহার কমানো সম্ভব হয়েছে।
বুধবার (২৩ আগস্ট) নগরীর ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমিতে ইউনিসেফ ও ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমির যৌথ উদ্যোগে দুইদিন ব্যাপি শিশু অধিকার বিষয়ক কর্মশালার সমাপনী ও সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমি সিলেটের উপপরিচালক মাওলানা শাহ মুহাম্মদ নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সৈয়দ ফখরুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সিলেট বিভাগের চার জেলাসহ কিশোরগঞ্জ, নরসিংদী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নির্বাচিত একশো ইমাম অংশ নেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন, ইউনিসেফের সিলেট বিভাগীয় প্রধান মো. কামরুল আলম ও ইউনিসেফ কর্মকর্তা সাইদুল হক মিল্কী। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন প্রশিক্ষণার্থী ইমাম মাওলানা আহমদ আল মনজুর ও ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমি সিলেটের কম্পিউটার প্রশিক্ষক মুবনুল হক। অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কুরআন থেকে তেলাওয়াত করেন মাওলানা শহিদুল ইসলাম।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ইউনিসেফের সিলেট বিভাগীয় প্রধান মো. কামরুল আলম বলেন, বাংলাদেশে বিগত চার দশক ধরে শিশু অধিকার নিয়ে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সঙ্গে কাজ করছে ইউনিসেফ। শূন্য থেকে পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুর মৃত্যুহার কমিয়ে আনার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সাফল্যকে ইতোমধ্যে স্বীকৃতি দিয়েছে জাতিসংঘ শিশু তহবিল (ইউনিসেফ)। মৃত্যুহার হ্রাসে সাফল্যের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতোমধ্যে এমডিজি অ্যাওয়ার্ড-২০১০ অর্জন করেছেন।
সভাপতির বক্তব্যে ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমির উপপরিচালক শাহ মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন, দুইদিন ব্যাপি এই কর্মশালায় সাত জেলার ইমামদেরকে ইপিআই এবং সামাজিক আচরণ পরিবর্তনে যোগাযোগ এবং ইসলামে শিশু পরিচর্যা বিষয়ক প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। শিশু অধিকার ও মাতৃমৃত্যু সম্পর্কে ধারণা দেওয়া হয়েছে। প্রশিক্ষণলব্ধ জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে ইমামরা বরাবরের মত উঠান বৈঠক, আলোচনা সভা ও খুতবার মাধ্যমে জনসচেনতায় ভূমিকা রাখবেন ইনশাআল্লাহ।