বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে পরিচয়, এরপর পরিণয়। আবার একই সমাবর্তনে অংশ নিয়েছেন দুজনই। বলছিলাম মো. আসিফুর রহমান ও মাধবী হাবিব বেলীর কথা।
গত ২৫ ফেব্রুয়ারি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ষষ্ঠ সমাবর্তনের ১৬ হাজার শিক্ষার্থীদের মিলনমেলায় অংশ নিয়েছিলেন আসিফুর রহমান ও মাধবী দম্পতি। একসাথে দম্পতির সমাবর্তনে অংশ নেওয়ার সুযোগ পাওয়াকে ভাগ্য হিসেবেই দেখছেন তারা।
২০২১ সালে বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া আসিফুর বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগ থেকে এবং মাধবী বাংলা বিভাগ থেকে স্নাতক (সম্মান) শেষ করে সমাবর্তনে অংশ নেন।
এছাড়া মাধবীর বড় বোন ফাহমিদা ফাইজা লাভলী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগ থেকে স্নাতোকত্তর শেষ করে আগেই সমাবর্তন নিয়েছেন। বর্তমানে তিনি সরকারি একটি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত। ছোট বোন বেবী নাজনীন রিনা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের স্নাতকের ছাত্রী।
অন্যদিকে ব্যাংক কর্মকর্তা বাবার ছেলে আসিফুর রহমানও জার্মানির স্টুটগার্ট টেকনোলজি ইউনিভার্সিটি অব অ্যাপ্লাইড সায়েন্স বিশ্ববিদ্যালয়টিতে ফটোগ্রামেট্রি অ্যান্ড জিওইনফরমেটিক্স নিয়ে উচ্চতর পড়াশোনার জন্য আর কয়দিন পরই বিদেশ পাড়ি জমাবেন।
মাধবী হাবিব বেলীর সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, ‘শিক্ষাজীবনের সব থেকে বড় অর্জন সমাবর্তন। আমি আমার জীবনের সব থেকে বড় অর্জন স্বামীর সাথে উদযাপন করতে পেরেছি।’
তিনি বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয় শুধু গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করলেই হয় না, সেই সাথে সদাচার, শিষ্টাচার এবং অন্যের প্রতি সম্মানবোধ অর্জন করাটা অনেক জরুরি।’
তিনি আরও বলেন, ‘শিক্ষাজীবনে অর্জিত এই সম্মান অর্জনের পুরোটাই প্রাপ্য আমার মা, বাবা এবং বোনদের। সম্মানের শেষ সম্মানটুকু রাখতে চাই শেষ পর্যন্ত।’ তিনি সকলের কাছে দোয়া কামনা করেন।