আজ ফাইনালে প্রতিপক্ষ নেপাল

শিরোপায় চোখ বাংলাদেশের মেয়েদের

বয়সভিত্তিক নারী ফুটবলে আগে বাংলাদেশের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল ভারত। এখন আর ভারত কুলিয়ে উঠতে পারে না লাল-সবুজ বাহিনীর বিরুদ্ধে। তাদের জায়গাটা এখন যেন নিয়েছে নেপাল। দুই দলের সিনিয়র এবং বয়সভিত্তিক টুর্নামেন্ট মিলিয়ে এ নিয়ে টানা তিনটি ফাইনালই এর বড় প্রমাণ (২০২২ সালে সিনিয়র সাফে বাংলাদেশ এবং একই বছরে সাফ অনূর্ধ্ব-১৭ চ্যাম্পিয়নশিপে নেপাল চ্যাম্পিয়ন হয়)। তিন নম্বর ফাইনালটি অনুষ্ঠিত হবে আজ বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি)।

ঢাকার কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ বনাম নেপাল ফাইনাল ম্যাচটি শুরু হবে সন্ধ্যা ৬টায়। যারা জিতবে, তারাই হবে সাফ অনূর্ধ্ব-২০ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপাধারী।

এ নিয়ে টানা চতুর্থবারের মতো ফাইনাল খেলছে বাংলাদেশ। আর নেপালের এটি দ্বিতীয় ফাইনাল। নেপাল জিতলে এটা হবে তাদের প্রথম শিরোপা। এবং সেই সঙ্গে নিতে পারবে ২০১৮ আসরের ফাইনালে এবং এবারের আসরে গ্রুপ পর্বে হারার মধুর প্রতিশোধ। বাংলাদেশের অর্জন সর্বাধিক দুটি শিরোপা (ভারত জিতেছে একবার)।

এই আসরে নেপালের বিরুদ্ধে এখনো অপরাজিত বাংলাদেশ। আগের তিন আসরের মোট ৬ ম্যাচ খেলে পাঁচটিতেই জিতেছে বাংলার বাঘিনীরা। ২০১৮ আসরে গ্রুপ পর্বে ২-১ গোলে, ফাইনালে ১-০ গোলে, ২০২২ আসরে গ্রুপ পর্বে ৪-২ গোলে এবং সেকেন্ড লেগে ২-১ গোলে নেপালকে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। ২০২১ আসরে গ্রুপ পর্বে বাংলাদেশকে রুখে দেয় (০-০) নেপাল। এবার গ্রুপ পর্বে বাংলাদেশ জিতেছে ৩-১ গোলে।

এই আসরে বাংলাদেশ যেখানে ৮ গোল দিয়ে মাত্র ১টি গোল হজম করেছে, সেখানে নেপালও করেছে ৮ গোল। তবে খেয়েছে ৪টি গোল। আজ দলীয় লড়াইয়ের পাশাপাশি দুদলের দুই ফরোয়ার্ডও লড়বেন এককভাবে আসরের সর্বোচ্চ গোলদাতা হতে। বাংলাদেশের শামসুন্নাহার এবং নেপালের আমিশা কারকি উভয়েই করেছেন ৪টি করে গোল। দুজনেই করেছেন ১টি করে হ্যাটট্রিক।

এবারের আসরে লিগ পর্বে প্রথম ম্যাচে নেপালকে ৩-১ গোলে হারিয়ে, এরপর ভারতের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র এবং ভুটানকে ৫-০ গোলে হারিয়ে সর্বোচ্চ ৭ পয়েন্ট নিয়ে ফাইনালে নাম লেখায় বাংলাদেশ। পক্ষান্তরে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৬ পয়েন্ট পাওয়া নেপাল বাংলাদেশের কাছে হারের পর ভুটানকে ৪-০ এবং ভারতকে ৩-১ গোলে হারিয়ে ফাইনালে উঠে এসেছে।