সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে আওয়ামী লীগের সম্মেলনে হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনার তিন দিন পর ৮১ জনকে আসামি করে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) দিরাই উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদ কলিম উদ্দিন বাদী হয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ মিয়াসহ ৮১ জনকে আসামি করে দ্রুতবিচার আদালতের বিচারক সাইয়েদ মাহবুব হোসেনের আদালতে এই মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার (১৪ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাবেক মন্ত্রী ও সাংসদসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দকে হত্যার উদ্দেশে হামলা চালান উপজেলা আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেনের অনুসারীরা। তাদের হামলায় ৪০ জন নেতাকর্মী আহত হন।
মামলার বাদী কলিম উদ্দিন বলেন, আওয়ামী লীগের সম্মেলনে সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নূরুল ইসলাম নাহিদ এমপি ও তিন সাংসদসহ কেন্দ্রীয় কমিটির নেতৃবৃন্দের ওপর আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী নেতাকর্মীরা বিএনপি-জামায়াতের সহযোগিতায় ন্যাক্কারজনক হামলা চালায়। এতে শত শত নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। আজ আদালতে মামলা দায়ের করেছি। জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই।
মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী আব্দুল আজাদ রোমান জানান, দিরাইয়ে আওয়ামী লীগের সম্মেলনে হামলার ঘটনায় ৮১ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করলে আদালত মামলাটি এফআইআর গণ্যে তদন্তের আদেশ দেন।
উল্লেখ্য, গত সোমবার দিরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনকে কেন্দ্র করে দুইপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নাহিদসহ কেন্দ্রীয় কমিটির নেতৃবৃন্দ চেয়ার ব্যবহার করে আত্মরক্ষা করলেও আহত হয়েছেন অন্তত ৪০ জন।
নবনির্বাচিত উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কামাল উদ্দিন বলেন, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী গ্রুপের বহিষ্কৃত নেতা মোশাররফ, বিএনপি থেকে আগত শান্তি কমিটির সদস্য আব্দুস সালামের পুত্র মতিউর রহমানসহ তাদের অনুসারীরা লঞ্চঘাটের মোশাররফের দোকানঘরে সমবেত হয়ে মিছিল সহকারে আসে এবং মঞ্চে বসা সাবেক মন্ত্রী ও ৩ জন এমপি এবং কেন্দ্রীয় নেতাদের লক্ষ্য করে হামলা চালায়। নেতাদের রক্ষা করতে গিয়ে আমরাও আহত হই। আমরা মঞ্চে হামলার সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।