সিলেটে সাত সকালেই কালবৈশাখীর তাণ্ডব

ছবি: সংগৃহীত

সাত সকালে সূর্যের আলো উঁকি দিতে না দিতেই সিলেটজুড়ে তাণ্ডব চালিয়েছে কালবৈশাখী। সোমবার (৬ মে) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে রাতের মতো অন্ধকার নেমে আসে সিলেট নগরীতে। শুরু হয় কালবৈশাখীর তাণ্ডব। ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে ছিল শিলাবৃষ্টিও। সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত নগরীজুড়ে তাণ্ডব চলে।

কালবৈশাখী ঝড়ে সিলেটের বিভিন্ন স্থানে গাছপালা ভেঙে পড়ে। প্রবল ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে শিলাবৃষ্টিতে বিভিন্ন স্থানে অন্তত শতাধিক ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে তাৎক্ষণিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি। 

এর আগে রোববার (৫ মে) সন্ধ্যার পর থেকে সিলেট, সুনামগঞ্জ ও মৌলভীবাজারের বিভিন্ন স্থানে কালবৈশাখী আঘাত হানে। এতে বিভিন্ন স্থানে সড়কের উপর গাছপালা ভেঙে পড়ে। এছাড়াও শিলা বৃষ্টিতে  টিনের চালা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। 

আগামী এক সপ্তাহ সিলেটের উপর দিয়ে শিলাবৃষ্টি ও কালবৈশাখী বয়ে যাওয়ার পূর্বাভাস রয়েছে বলে জানিয়েছেন সিলেট আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবি শাহ মো. সজিব হোসাইন। 

তিনি বলেন, মার্চ, এপ্রিল ও মে এ তিনমাস ঝড়ো হাওয়া ও কালবৈশাখী থাকে। তবে তা একাধারে না হয়ে বিক্ষিপ্তভাবে বয়ে যায়। আগামী এক সপ্তাহ সিলেটের উপর দিয়ে কালবৈশাখী বয়ে যাওয়ার পূর্বাভাস রয়েছে। সঙ্গে শিলাবৃষ্টিও হতে পারে। 

তিনি আরও বলেন, সোমবার (৬ মে) সকাল ৬টা থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত ২৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এর আগের ২৪ ঘন্টায় ২ দশমিক ২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে। 

এদিকে রোববার রাতেও সিলেট ও সুনমাগঞ্জে আঘাত হানে কালবৈশাখী। সিলেটের কানাইঘাটে কালবৈশাখী ও শিলাবৃষ্টির তাণ্ডবে বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে। বিভিন্ন স্থানে  গাছপালা ভেঙে ও শিলাবৃষ্টিতে ঘরবাড়ির ব্যাপক ক্ষতি হয়।

রোববার সন্ধ্যার পর থেকে কানাইঘাট দক্ষিণ বানীগ্রাম, ঝিংগাবাড়ি ও রাজাগঞ্জ ইউনিয়নে প্রবল ঝড়ো বাতাসের সঙ্গে শিলাবৃষ্টি শুরু হয়। এতে বিভিন্ন সড়কের উপর গাছপালা ভেঙে পড়ে। যার কারণে কানাইঘাট গাজী বোরহান উদ্দিন সড়কের বিভিন্ন এলাকায় সন্ধ্যার পর থেকে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

এছাড়াও শিলাবৃষ্টির কারণে বোরো ফসলের ব্যপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় সিলেটের বিভিন্ন এলাকা। 

কানাইঘাট সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আফসার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, শিলাবৃষ্টিতে গাছপালা ও ঘরবাড়ির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। অনেকের ঘরের টিনের চাল উড়ে গিয়েছে । শক্তিশালী ঝড়ে বিভিন্ন স্থানে বৈদ্যুতিক লাইনে গাছ পড়ে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের সৃষ্টি হয়েছে।