বিশ্বকাপে দিনের একমাত্র ম্যাচে মুখোমুখি হচ্ছে নিউজিল্যান্ড ও নেদারল্যান্ডস। দীর্ঘ ২৭ বছর পর বিশ্বকাপের মঞ্চে দেখা হবে দল দুটির। আজ (সোমবার) হায়দরাবাদের রাজীব গান্ধী স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হবে দুপুর আড়াইটায়।
সর্বশেষ ১৯৯৬ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর আর কোনো বিশ্বকাপে মুখোমুখি হয়নি নিউজিল্যান্ড-নেদারল্যান্ডস। ভারতে অনুষ্ঠিত সেই আসরের চতুর্থ ম্যাচে বারোদায় ডাচরা মুখোমুখি হয়েছিল কিউইদের। ওই ম্যাচে ১১৯ রানের বড় ব্যবধানে জয় পায় নিউজিল্যান্ড।
বিশ্বকাপের ওই ম্যাচের পর ২০২২ সালের মার্চে দ্বিতীয়বারের মতো দেখা হয় নিউজিল্যান্ড-নেদারল্যান্ডসের। ঘরের মাঠে ডাচদের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলে কিউইরা। তিন ম্যাচই দাপটের সঙ্গে জিতে নেদারল্যান্ডসকে হোয়াইটওয়াশ করে নিউজিল্যান্ড।
এবারের বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচটি স্মরণীয় করে রেখেছে নিউজিল্যান্ড। কিউই ঝড়ে রীতিমত উড়ে গেছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড। দাপুটে জয়ের ধারাবাহিকতা দ্বিতীয় ম্যাচও ধরে রাখার আশা নিউজিল্যান্ডের। প্রতিপক্ষ নেদারল্যান্ডস হলেও হালকাভাবে নিচ্ছে না ব্ল্যাকক্যাপসরা।
অন্যদিকে, প্রতিপক্ষ নেদারল্যান্ডস প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে হেরেছে। তবে ম্যাচটিতে হারলেও বাবর আজমদের বেশ ভুগিয়েছে ডাচ বোলাররা। ফলে দ্বিতীয় ম্যাচে চমক দেখানোর লক্ষ্য তাদের। আজ দ্বিতীয় রাউন্ডে তাই নিশ্চিতভাবেই ঘুরে দাঁড়াতে চাইবে নেদারল্যান্ডস।
দাপুটে জয় দিয়ে শুরু করা নিউজিল্যান্ডের সামনে অসহায় আত্মসমর্পণ করা নেদারল্যান্ডস-আজ হায়দরাবাদে লড়াইটা কেমন হবে, এ থেকে খানিকটা অনুমান করাই যায়। ধারণা পেতে সাহায্য করবে অতীত পরিসংখ্যানও। দুই দল এ পর্যন্ত ওয়ানডেতে মুখোমুখি হয়েছে চার বার। সেই চার বারই অনায়াস জয় তুলে নিয়েছে নিউজিল্যান্ড। কিউইদের সামনে ডাচরা লড়াইও গড়তে পারেননি। এই চার সাক্ষাতের একটি ছিল বিশ্বকাপে। ১৯৯৬ সালে প্রথম বারের মতো বিশ্বকাপে খেলতে আসা নেদারল্যান্ডস পড়েছিল নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে বি গ্রুপে। তো ১৯৯৬ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি ভারতের বারোদায় দুই দলের মুখোমুখি সেই সাক্ষাতে নিউজিল্যান্ড জিতেছিল ১১৯ রানে। প্রথমে ব্যাট করে নিউজিল্যান্ডের ৮ উইকেটে ৩০৭ রানের জবাবে নেদারল্যান্ডস পুরো ৫০ ওভার ব্যাটিং করে ৭ উইকেটে করতে পেরেছিল মাত্র ১৮৮ রান।
যদিও সেই ম্যাচের স্মৃতি হয়তো দুই দলের খেলোয়াড়দের কারো মনেই নেই। এবারের বিশ্বকাপে খেলতে আসা নিউজিল্যান্ড ও নেদারল্যান্ডসের বেশির ভাগ ক্রিকেটারের যে তখন জন্মও হয়নি। যাদের জন্ম হয়েছিল তারাও যে খুব ছোট ছিলেন, সেটি স্পষ্টই। কাজেই ২৭ বছর আগের একটা ম্যাচের স্মৃতি তাদেরও মনে থাকার কথা নয়। তবে আরেক বার বিশ্বকাপ মঞ্চে মুখোমুখি হওয়ার আগে দুই দলের ক্রিকেটাররাই হয়তো ‘হোম ওয়ার্ক’ সেই ম্যাচের পরিসংখ্যান নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করে থাকবেন।
সেই হোমওয়ার্ক করুক বা না করুক, দুই দলই যে একমাত্র জয়ের পরিকল্পনা নিয়েই মাঠে নামবে, সেটা না বললেও চলে। তবে জয়োত্সব করতে হলে নেদারল্যান্ডসকে আগে বদলাতে হবে ইতিহাস। কিউইদের বিপক্ষে শতভাগ হারের ইতিহাস বদলে লিখতে হবে জয়ের ইতিহাস। স্কট অ্যাডওয়ার্ডসের দল পারবে হায়দরবাদে নতুন ইতিহাস লিখতে? নাকি নিউজিল্যান্ডই আরেকটি সহজ জয়ে সেমিফাইনালের পথে এগিয়ে যাবে আরও একধাপ?
সিলেট ভয়েস/এএইচএম