‘২০ নভেম্বর সিলেট হবে সমাবেশ ও মিছিলের নগরী’

বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির বলেছেন, দেশের মানুষ আওয়ামী লীগের দুঃশাসনে আজ অতিষ্ঠ। সাধারণ মানুষ এই জালিম সরকারের পতন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার স্থায়ী মুক্তি ও দেশনায়ক তারেক রহমানের নিরাপদে স্বদেশে প্রত্যাবর্তন চায়। তাই আগামী ২০ নভেম্বর সিলেট বিভাগীয় গণসমাবেশ সফল করে এই সরকারের পতন নিশ্চিত করে দেশকে বাঁচাতে সকলের সর্বাত্মক অংশগ্রহন প্রয়োজন। আগামী ২০ নভেম্বর সিলেট শহর হবে সমাবেশ ও মিছিলের নগরী।

বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) দুপুরে সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপির উদ্যোগে নগরীর দরগাহ গেট এলাকা থেকে খাসদবীর পর্যন্ত গণসংযোগকালে তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির ও সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরীর নেতৃত্বে এই গণসংযোগে বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী অংশ নেন।

সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার দেশবাসীর ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছে, বাকস্বাধীনতাকে কেড়ে নিয়েছে, মানুষের মৌলিক অধিকারকে হরণ করেছে, মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে। দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দিয়েছে, অর্থনীতি তাদের দ্বারা মেরামত করা সম্ভব হবে না। বিএনপিকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করতে ব্যর্থ হয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার সহধর্মিনী ডা. জুবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। যাতে তারেক রহমান ও জোবায়দা রহমান দেশে ফিরতে না পারেন। কোনো ষড়যন্ত্রেই এই ফ্যাসিস্ট সরকারের শেষ রক্ষা হবে না। আর তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের অপেক্ষায় বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষ। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে দেশবাসীকে বাঁচতে দেবে না। তাই দেশ যাবে কোন পথে, তা রাজপথে ফয়সালা করে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে এই ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন ঘটাতে হবে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, সিলেট মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি নাসিম হোসেন সাবেক সাধারণ সম্পাদক বদরুজ্জামান সেলিম, যুগ্ম-আহ্বায়ক হূমায়ূন কবির শাহিন, ফরহাদ চৌধুরী শামীম, রেজাউল হাসান কয়েস লোদী, এমদাদ হোসেন চৌধুরী ও নজিবুর রহমান নজিব, মহানগর বিএনপি নেতা নুরে আলম সিদ্দিকী খালেদ, সৈয়দ তৌফিকুল হাদি, কামরুল হাসান শাহিন, হুমাইয়ুম আহমদ মাসুক, দক্ষিণ সুরমা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কোহিনুর আহমদ, সিলেট মহানগর যুবদলের সভাপতি শাহনেওয়াজ বখত তারেক, মীর্জা সম্রাট হোসেন, মহানগর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ফজলে আহসান রাব্বীসহ বিভিন্ন ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদকসহ বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী।