সোনার খনির দেয়াল ধসে ২৩জন নিহত

ভেনিজুয়েলায় একটি সোনার খনিতে মাটির দেয়াল ধসে মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় অন্তত ২৩ জন মারা গেছেন। খবর আল-জাজিরার।

মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) এই দুর্ঘটনা ঘটে। বেসামরিক সুরক্ষা উপমন্ত্রী কার্লোস পেরেজ অ্যাম্পুয়েদা এক্স-এ ঘটনার একটি ভিডিও প্রকাশ করেছেন এবং দুর্ঘটনার কথা উল্লেখ করেছেন। যদিও তিনি হতাহতের কোনও সংখ্যা দেননি।

তবে, স্থানীয় কর্মকর্তা ইওরগি আর্কিনিগা বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, বলিভার রাজ্যের জঙ্গলে বুল্লা লোকা নামে পরিচিত খোলা গর্ত থেকে প্রায় ২৩টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

ভিডিওটিতে দেখা গেছে, একটি খোলা পিট খনির অগভীর পানিতে কর্মরত লোকদের ওপর ধীরে ধীরে মাটির একটি প্রাচীর ভেঙে পড়ছে। অনেকেই পালাতে সক্ষম হলেও কেউ আবার আটকা পড়ে যান মাটির নিচে। কর্মকর্তাদের মতে, প্রায় ২০০ জন লোক খনিতে কাজ করছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। নিকটতম শহর লা প্যারাগুয়া থেকে সাত ঘণ্টার নৌকা যাত্রা করে তারা এখানে এসে কাজ করছিলেন।

বলিভার রাজ্যের নাগরিক নিরাপত্তা বিষয়ক সেক্রেটারি এডগার কোলিনা রেয়েস বলেছেন, আহতদের রাজধানী কারাকাসের দক্ষিণ-পূর্বে ৭৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত লা প্যারাগুয়া থেকে চার ঘণ্টা দূরে আঞ্চলিক রাজধানী সিউদাদ বলিভারের একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

লা প্যারাগুয়ায় খনি শ্রমিকদের খবরের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলেন তাদের নিকট আত্মীয়রা। দুর্ঘটনার খবর পেয়েই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় শুরু হয় উদ্ধারকাজ। পাঠানো হয় হেলিকপ্টার। খনিটির পরিস্থিতি দেখে উদ্ধারকারী দলের আশঙ্কা এখনও বহু মানুষ সেখানে আটকে রয়েছেন। প্রশাসনের কাছে দ্রুত সকলকে বের করে আনার কাতর আর্জি জানাচ্ছে হতভাগ্য শ্রমিকদের পরিবার ।

এদিনের দুর্ঘটনার পর মৃত্যুর মুখ ফিরে আসা এক শ্রমিক কার্লোস মার্কানো জানিয়েছেন, “খনির পরিস্থিতি ভয়ংকর। আমরা কেউ চাই না আমাদের একজন সহকর্মী বা একজন মানুষও এভাবে প্রাণ হারাক।”

বলিভার অঞ্চল সোনা, হীরা, লোহা, বক্সাইট, কোয়ার্টজ এবং কোল্টান সমৃদ্ধ। রাষ্ট্রীয় খনি ছাড়াও অবৈধ উত্তোলনের একটি বিকাশমান শিল্পও রয়েছে এখানে। স্থানীয় বাসিন্দা রবিনসন খনি শ্রমিকদের অনিরাপদ কাজের পরিস্থিতি সম্পর্কে এএফপিকে বলেন, এটি একদিন হবারই ছিল। কারণ শ্রমিকরা চরম দারিদ্রের জন্য জীবনের ঝুঁকি নিয়েও কাজ করে ।

গত বছরের ডিসেম্বরে একই অঞ্চলের ইকাবারুর আদিবাসী সম্প্রদায়ের একটি খনি ধসে কমপক্ষে ১২ জন নিহত হয়েছিলেন।