সিলেট-সুনামগঞ্জে কালবৈশাখী ঝড়-শিলাবৃষ্টি, ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলার বিভিন্ন এলাকায় কালবৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে ব্যপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া ঝড়ের কারণে বিভিন্ন এলাকা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।

এছাড়া শিল পড়ে আহত একজন ব্যক্তি সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। আহত বিল্লাল আহমেদ (৪০) সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার রণকেলীর বাসিন্দা।

রোববার রাত সোয়া ১০টা থেকে প্রায় ৩০ মিনিট স্থায়ী এই ঝড় এবং ৫ মিনিট ঘরে শিলাবৃষ্টিতে বেশ কিছু বাড়িঘরের কাচ ভেঙেছে, ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে যানবাহনেরও।

সিলেট-সুনামগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কে গাছ ভেঙে পড়ে স্বাভাবিক যোগাযোগ ব্যহত হয়েছে বলে জানা গেছে।

সিলেট নগরীর টিলাগড় এলাকার বাসিন্দা মুহিবুর রহমান বলেন, ‘এমন শিলাবৃষ্টি আগে কখনো দেখিনি। বাড়ির চাল ফুটো হয়েছে, গাড়ির কাচ ভেঙে গেছে।’

সিলেট আবহাওয়া অধিদপ্তরের সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ মো. সজীব হোসাইন বলেন, বছরের এই সময়ে ঝড়ের সঙ্গে বৃষ্টিকে কালবৈশাখী বলা হয়ে থাকে। কালবৈশাখীতে শিলাবৃষ্টি হয়।

এদিকে, ঝড়ের সময় সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে যাওয়ার পথে একটি সিএনজি অটোরিকশায় থাকা তিন যাত্রী আহত হয়েছেন। তারা হাসপাতালে যাওয়ার সময় পুরাতন শিল্পকলা একাডেমি এলাকার সড়ক অতিক্রম করার সময় গাছ পড়ে আহত হয়েছেন। গাছ পড়ে সিএনজিটি দুমড়ে মুছড়ে গেছে।

আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয়রা সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। গুরুতর আহতরা হল রয়েল আহমদ ও সাদ্দাম হোসেন অপরজনের নাম ঠিকানা তাৎক্ষণিক ভাবে জানা যায়নি।

গুরুতর আহত একজনকে সিলেটে প্রেরণ করা হয়েছে।

জেলার শান্তিগঞ্জ উপজেলার পাগলা বাজারে কয়েক শতাধিক দোকান ঘর ও ঘরবাড়ি ঝড়ে নষ্ট হয়ে গেছে। এতে বিভিন্ন দোকানে থাকে প্রায় ১৫ থেকে ২০ লক্ষ টাকার মালামালের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
উপজেলার পাগলা এলাকার বাসিন্দা জহুর আলী জানান, আমাদের এলাকার বাজারে কয়েক শতাধিক দোকান কোঠা ঝড়ে বিনষ্ট করছে।  কিছু কিছু মানুষের উপর টিন বাঁশ পড়ে আহত হয়েছেন।  তারা স্হানীয় ভাবে চিকিৎসা নিচ্ছেন।  আমরা অনুমান করছি প্রায় ১৫ থেকে ২০ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।