সিলেট বিভাগের ১৫ আসনে প্রার্থী দিলো তৃণমূল বিএনপি

সিলেট বিভাগের ১৯টি সংসদীয় আসনের মধ্যে ১৫টিতে দলীয় প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছে শমসের মবিন চৌধুরী ও তৈমুর আলম খন্দকার নেতৃত্বাধীন নতুন আলোচিত রাজনৈতিক দল তৃণমূল বিএনপি।

মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর পল্টনের তৃণমূল বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলটির মহাসচিব তৈমুর আলম খন্দকার দলীয় প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন।

এর মধ্যে সিলেটের ৬টি আসনে দলের প্রার্থীরা হলেন, সিলেট-১ হাফিজ মো. রইছ উদ্দিন, সিলেট-২ ড. এ.এম. খান, সিলেট-৩ আমিনুল ইসলাম ডেনী, সিলেট-৪ মো. আবুল হোসেন, সিলেট-৫ আসনে কায়সার আহম্মেদ কাউসার ও কুতুব উদ্দিন আহমদ শিকদার, সিলেট-৬ দলটির চেয়ারপার্সন শমসের মবিন চৌধুরী।

সুনামগঞ্জের প্রার্থীরা হলেন, সুনামগঞ্জ-১ আসনে মাওলানা আশরাফ আলী ও মো. রফিকুল ইসলাম চৌধুরী, সুনামগঞ্জ-৩ মোহাম্মদ শাহীনুর পাশা চৌধুরী, সুনামগঞ্জ-৫ আবু সালেহ। তবে সুনামগঞ্জ-২ ও ৪ আসনে কোন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেনি তৃণমূল বিএনপি।

মৌলভীবাজারের ৪টি আসনে তৃণমূল বিএনপির প্রার্থীরা হলেন, মৌলভীবাজার-১ আনোয়ার হোসেন, মৌলভীবাজার-২ সাবেক সংসদ সদস্য এসএম শাহীন, মৌলভীবাজার-৩ মিছবাহ উদ্দিন ও মৌলভীবাজার-১ মো. কবির আহমেদ বাবর।

হবিগঞ্জের ৪টি আসনে তৃণমূল বিএনপির প্রার্থীরা হলেন, হবিগঞ্জ-১ মো. মইনুর রশীদ চৌধুরী, হবিগঞ্জ-২ এডভোকেট খায়রুল আলম ও মো. ছাদিকুর মিয়া তালুকদার।

সারাদেশে ঘোষিত প্রার্থীদের মধ্যে পাঁচজন সাবেক সংসদ সদস্য রয়েছেন। বাকি আসনগুলোতে পরবর্তী সময়ে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হবে বলে জানানো হয়েছে।

সোমবার (২৯ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর পল্টনের তৃণমূল বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলটির মহাসচিব তৈমুর আলম খন্দকার দলীয় প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন। এ সময় সেখানে দলের চেয়ারপার্সন শমসের মবিন চৌধুরী ও নির্বাহী চেয়ারপার্সন অন্তরা সেলিমা হুদা উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন > সিলেটের ৬টিসহ ২৮০ আসনে তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা

এদিকে, জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে আত্মপ্রকাশ করা ‘প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক ফোরাম’ দলটির প্রার্থীরা তৃণমূল বিএনপির প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নেবেন। এর মধ্যে প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক ফোরামের চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দিন চট্টগ্রাম-৫ আসন এবং সাধারণ সম্পাদক আজিম উদ্দিন ফেনী-৩ আসন থেকে তৃণমূল বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন।

তৃণমূল বিএনপির সঙ্গে জোটবদ্ধভাবে নির্বাচন করবে ‘প্রগতিশীল ইসলামী জোট’ নামের আরেকটি রাজনৈতিক মোর্চা। ১৫ দলীয় এ জোটের চেয়ারম্যান সাবেক সংসদ সদস্য এম এ আউয়াল লহ্মীপুর-১ আসন এবং সদস্য সচিব নুরুল ইসলাম খান ময়মনসিংহ- ২ আসন থেকে তৃণমূল বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন।

আরও পড়ুন > নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধ থাকলে নৌকার বিজয় সুনিশ্চিত : মন্ত্রী ইমরান

গাজীপুর-১ আসন থেকে তৃণমূল বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন সাবেক বিএনপি নেতা চৌধুরী তানভীর আহমেদ সিদ্দিকীর ছেলে চৌধুরী ইরাদ আহমেদ সিদ্দিকী। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আলোচিত সংসদ সদস্য প্রয়াত উকিল আবদুস সাত্তারের ছেলে মাইনুল হাসান তৃণমূল বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ আসন থেকে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসন গোপালগঞ্জ-৩ থেকে কোনো প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেনি তৃণমূল বিএনপি। এ বিষয়ে তৈমুর আলম বলেন, ‘গোপালগঞ্জ-৩ আসনে একজন প্রার্থী ছিলেন। কিন্তু তার ব্যাংক ঋণ রয়েছে। আমরা বিকল্প প্রার্থী খুঁজছি।’

তৃণমূল বিএনপির ঘোষিত প্রার্থী তালিকায় বেশকিছু আসনে একাধিক প্রার্থী রয়েছেন। এ বিষয়ে তৈমুর আলম খন্দকার বলেন, ঠুনকো কারণে অনেকের প্রার্থিতা বাতিল হয়ে যায়। মনোনয়ন ফরম জমা ও প্রত্যাহারের মধ্যে বেশ কিছুটা সময় পাওয়া যায়। এর মধ্যে এলাকায় যাদের জনপ্রিয়তা বেশি তাদের দলীয় প্রতীক দেওয়া হবে।

আরও পড়ুন > সিলেট-২ আসনে লড়তে চান বিশ্বনাথের মেয়র মুহিবুর রহমান

দলের প্রার্থী নির্বাচনে মধ্যবিত্ত ও জনগণের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে, এমন ব্যক্তিদের গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে জানিয়ে তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব বলেন, এখন বড়লোকের আড্ডাখানা হয়ে গেছে সংসদ। আমরা এ ধারা ভাঙতে চাই। সমাজের উঁচুতলার লোকদের মনোনয়ন সেভাবে দিইনি।

নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার যৌক্তিকতা তুলে ধরে তৈমুর আলম বলেন, ‘২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচন সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য হয়নি। কিন্তু সরকার গঠন তো ঠেকানো যায়নি। এবারও কেন সরকারকে ব্ল্যাঙ্ক চেক দেব? তাদের ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে পাস করতে দেব না।’