সিলেটের চার উপজেলা নির্বাচন

ভোটের মাঠে তৎপর আ. লীগ ও জামায়াত

প্রতীকী ছবি।
প্রথম ধাপে সিলেটে চারটি উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৮ মে। নির্বাচন উপলক্ষে গত ২১ মার্চ তফসিলও ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন।

আর তফসিল ঘোষণার পরপরই নির্বাচনের ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়ে মাঠে নেমেছেন সম্ভাব্য চেয়ারম্যান, ভাইস-চেয়ারম্যান ও নারী ভাইস-চেয়ারম্যান প্রার্থীরা।

দলীয় প্রতীকে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের বিধি থাকলেও আওয়ামী লীগ দল হিসেবে কোন প্রার্থী মনোনয়ন না দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। ফলে এ নির্বাচনে অংশ নিতে প্রতিট উপজেলায়ই সকল পর্যায়ের আওয়ামী লীগ নেতারা প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

এদিকে বিএনপি উপজেলা নির্বাচনে অংশ না নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে এবং দলীয় প্রার্থীদের এ নির্বাচনে অংশ নিতে নিরুৎসাহিত করছে। তারপরও স্থানীয় বিএনপির কিছু নেতা শেষ মুহূর্তে প্রার্থী হতে পারেন বলে ধারণা করছেন স্থানীয়রা।

তবে জামায়াতে ইসলামী অংশগ্রহণ বা বর্জন কোন ধরণের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না দিলেও নির্বাচনে নিবন্ধন হারানো দলটির নেতারা বেশ সরবেই প্রস্তুতি নিচ্ছেন নির্বাচনে অংশগ্রহণের।

৮ মে প্রথম ধাপে সিলেটের যে চার উপজেলায় নির্বাচন হবে সেগুলো হলো—সিলেট সদর উপজেলা, দক্ষিণ সুরমা উপজেলা, গোলাপগঞ্জ ও বিশ্বনাথ উপজেলা।

এসকল উপজেলার সম্ভাব্য প্রার্থীরা রমজান মাসে ভোটারদের দোয়া চাইছেন সবধরণের সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানের মাধ্যমে।

সিলেট সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হতে তৎপর আছেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সুজাত আলী ও জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি এজাজুল হক।

এছাড়াও জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুব ও ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক মিল্লাত চৌধুরী এবং আওয়ামী লীগ নেতা ও মোগলগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান শামসুল হক প্রস্তুতি নিচ্ছেন জোরেসোরে।

এই উপজেলায় জামায়াত নেতা ইসলাম উদ্দিন প্রার্থী হিসেবে প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

দক্ষিণ সুরমা উপজেলায় আওয়ামী লীগের চারজন নেতা প্রার্থী হতে মাঠে আছেন।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শামীম আহমদ, যুগ্ম সম্পাদক বদরুল ইসলাম, সদস্য মইনুল ইসলাম এবং যুক্তরাষ্ট্র শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক জুয়েল আহমদ।

এ উপজেলায় জালালপুর ইউনিয়ন শাখা জামায়াতের সাবেক আমির ও সাবেক ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মাওলানা সোলেমান হোসাইন প্রার্থী হতে মাঠে আছেন।

গোলাপগঞ্জ উপজেলায় চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে প্রচারণা চালাচ্ছেন বর্তমান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মঞ্জুর কাদির শাফি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি লুৎফুর রহমান।

এছাড়াও আলোচনায় আছেন জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য সাহিদুর রহমান চৌধুরী এবং আওয়ামী লীগ নেতা আবু সুফিয়ান।

এখানে গোলাপগঞ্জ উপজেলা জামায়াতের সাবেক আমির ও সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হাফিজ নাজমুল ইসলাম প্রার্থী হতে পারেন বলে জানা গেছে।

বিশ্বনাথ উপজেলায় আওয়ামী লীগের নেতাদের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতার লড়াইয়ে আছেন বর্তমান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য মো. নুনু মিয়া ও উপজেলা আওয়ামী লীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন আহমেদ।

এছাড়াও পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আলতাব হোসেন, যুক্তরাজ্যের ডরসেট আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল রোশন, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সদস্য শমসাদুর রহমান রাহিন এবং যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ আলী প্রার্থীতা করবেন বলে জানা গেছে।

এ উপজেলায় জামায়াতের উপজেলা শাখার আমির নিজাম উদ্দিন সিদ্দিকী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।

নির্বাচন কমিশনের তফসিল অনুযায়ী রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া যাবে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত। মনোনয়নপত্র বাছাই হবে ১৭ এপ্রিল, প্রত্যাহারের শেষ সময় ২২ এপ্রিল। ভোট হবে ৮ মে।