সিলেটসহ তিন বিভাগে প্রাথমিকের নিয়োগ পরীক্ষা শুক্রবার

প্রতীকি ছবি

আগামী শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) সিলেটসহ তিন বিভাগের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। ‘নিরাপত্তা শঙ্কা’ ও ‘যাতায়াত ঝুঁকির কথা উল্লেখ করে পরীক্ষা স্থগিতের দাবি জানিয়ে নির্বাচন কমিশনে আবেদন করেছিলেন বেশ কয়েকজন চাকরিপ্রার্থী।

তবে পরীক্ষা ৮ ডিসেম্বরই অনুষ্ঠিত হবে জানিয়ে বুধবার (৬ ডিসেম্বর) বিকালে একটি ‘সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি’ জারি করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।

এতে বলা হয়, ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ ২০২৩-এর প্রথম গ্রুপের (রংপুর, বরিশাল ও সিলেট বিভাগ) আওতাধীন জেলাসমূহের লিখিত পরীক্ষা আগামী ৮ ডিসেম্বর শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত জেলা পর্যায়ে অনুষ্ঠিত হবে।’

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘প্রার্থীদের রোল নম্বর, আসনবিন্যাস, প্রশ্নপত্র প্রেরণ ও মুদ্রণ, উত্তরপত্র মূল্যায়ন, ফলাফল প্রস্তুতসহ যাবতীয় কাজ সফটওয়্যারের মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে করা হয়। এছাড়া জেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় পরীক্ষাকেন্দ্রের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। গোয়েন্দা তৎপরতাও জোরদার করা হয়েছে। এক্ষেত্রে কোনো ধরনের অবৈধ হস্তক্ষেপের সুযোগ নেই।’

‘এমতাবস্থায়, দালাল বা প্রতারকচক্রের প্রলোভনে প্রলুব্ধ হয়ে কোনো প্রকার অর্থ লেনদেন না করার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনুরোধ করা হলো। অর্থ লেনদেন বা অন্য কোনো অনৈতিক উপায়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ পাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতেই চাকরি হবে। কেউ অর্থের বিনিময়ে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখালে তাকে নিকটস্থ থানায় সোপর্দ করা অথবা থানা বা গোয়েন্দা সংস্থাকে অবহিত করার জন্য অনুরোধ করা হলো।

জানা গেছে, প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে প্রথম ধাপের পরীক্ষা গত ২৪ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। এরপরে দুই দফা পেছানোর পর প্রথম ধাপের নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠানের জন্য ৮ ডিসেম্বর তারিখ চূড়ান্ত করা হয়। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের নির্দেশনা মোতাবেক গত ২ ডিসেম্বর থেকে প্রবেশপত্র ডাউনলোড করছেন প্রার্থীরা। প্রথম ধাপে রংপুর, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের প্রার্থীরা নিজ নিজ জেলার কেন্দ্রে ৮ ডিসেম্বর সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত পরীক্ষায় অংশ নেবেন। তিন বিভাগের ১৮ টি জেলার ৫৩৫টি কেন্দ্রে লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এ ধাপে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৩ লাখ ৬০ হাজার ৬৯৭ জন।