সিকৃবিতে ১০ সংগঠনের আয়োজনে ‘ঝরা পাতার উৎসব’

সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (সিকৃবি) ‘ঝরা পাতার উৎসব’ নামে একটি ব্যতিক্রমধর্মী পিঠা মেলা সম্পন্ন হয়েছে।

শুক্রবার (০২ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈশাখী চত্বরে এই পিঠা মেলার আয়োজন করে ক্যাম্পাসের ১০টি সংগঠন।

সংগঠনগুলো হচ্ছে, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি, কৃষ্ণচূড়া সাংস্কৃতিক সংঘ, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ডিবেটিং সোসাইটি, সিকৃবি ফটোগ্রাফিক সোসাইটি, পাঠশালা একুশ, মেট্রোনোম মিউজিকাল ক্লাব, লুব্ধক থিয়েটার, প্রাধিকার এবং বাঁধন।

বেলা ৩টায় এই উৎসবের উদ্বোধন করেন সিকৃবির ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ডা. মো. জামাল উদ্দিন ভূঞা।

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, বায়োটেকনোলজি ও জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মেহেদী হাসান খান, পরিচালক (ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা) প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আতিকুজ্জামান, প্রক্টর প্রফেসর ড. মোঃ.মনিরুল ইসলাম, শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. মো. ছফি উল্লাহ ভূঞা, ফিশ বায়োলজি ও জেনেটিক্স বিভাগের সহযোগী প্রফেসর ড. শামীমা নাসরিন প্রমুখ।

বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ ও প্রকাশনা দপ্তর জানায়, হরেক রকমের পিঠার পসরা সাজিয়ে স্টল দিয়েছে সিকৃবির বিভিন্ন সংগঠনগুলো। দেশীয় স্বাদে নানারকম বিলুপ্তপ্রায় পিঠা স্থান পেয়েছে এই উৎসবে। পিঠা বিক্রির পাশাপাশি সাংস্কৃতিক আয়োজনও ছিলো। বসন্তের আগমনী বার্তা নিয়ে এসেছে এই ‘ঝরা পাতার উৎসব’। বিভিন্ন আবাসিক হলের শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি সিলেট শহরের অনেক সাংস্কৃতিকমনা ব্যক্তিও এই উৎসবে অংশ নেন।

‘ঝরা পাতার উৎসব’ এর অন্যতম আয়োজক সংগঠন প্রাধিকারের সহসভাপতি আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, আবহমান গ্রামবাংলার ঐতিহ্য এবং দাদী, নানী আর মায়ের হাতের বানানো সুস্বাদু সব পিঠার কথা ভাবলেই জিহ্বায় পানি চলে আসে। কবে বাসায় যাবো, কখন মায়ের হাতের বানানো পিঠা খাবো এই চিন্তা করতে করতে যখন জিহ্বা লালারসে ভিজে আসে তখন বিশ্ববিদ্যালয়ে বই খাতা আর শিটপত্র নিয়ে ছোটাছুটি করতে হয়। মায়ের হাতের বানানো পিঠা আর খাওয়া হয়ে ওঠে না। মায়ের হাতের বানানো শীতের পিঠা খেতে না পেয়ে যখন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দুঃখ কষ্টে শীতকাল কাটাচ্ছে ঠিক সেই সময়ে আমরা আয়োজন করেছি ‘ঝড়া পাতার উৎসব’ শীর্ষক পিঠা উৎসব।

ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আতিকুজ্জামান বলেন, ‘বাংলাদেশের কৃষকদের ঘরে কিন্তু এখন নতুন ধান রয়েছে। এসময় গ্রামে গ্রামে কৃষকের মুখে হাসি ফুটে আছে এবং নতুন ধানের চাল দিয়ে পিঠা পায়েস তৈরি করছে কিষানীরা। আমরা এই পিঠা উৎসবকে একটি প্রতীকি নবান্ন উৎসব মনে করছি। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের শিক্ষা সহায়ক কার্যক্রমে কর্তৃপক্ষ সমসময় সহযোগিতা করে। ক্যাম্পাসের প্রতিটি সংগঠন মিলে এই উৎসবের আয়োজন করেছে। ভালো কাজে সবাই এক হয়েছে। পুরো বিকালটাই যেন উৎসবমুখর ছিলো।’