সিকৃবিতে মশাবাহিত রোগ নিয়ে আন্তর্জাতিক কর্মশালা

মশাবাহিত রোগের ক্রমবর্ধমান হুমকি মোকাবেলায় সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হলো ভেক্টর-বাহিত রোগের উপর কর্মশালা।

সিকৃবির ইয়ুথ ক্লাবের আয়োজনে ৩ ডিসেম্বর (রবিবার) এই কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়।

জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিজ্ঞানী, ভেক্টর-বাহিত রোগ বিশেষজ্ঞদের নিয়ে দিনব্যাপি এই চিত্তাকর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ডা. মো. জামাল উদ্দিন ভূঞা। ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার নীরজ কুমার জয়সওয়াল সম্মানিত অতিথি হিসেবে কর্মশালাটিতে যোগ দেন।

কর্মশালায় ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গু জ্বর, জিকা, হলুদ জর, চিকুনগুনিয়া, জাপানিজ এনসেফালাইটিজের মতো কঠিন রোগুগুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। দেশের জনস্বাস্থ্যের জন্য এ রোগগুলো কতটুকু ঝুঁকিপূর্ণ সেটার একটি তুলনামূলক চিত্রও এখানে তুলে ধরা হয়।

ইয়ুথ ক্লাবের টিমলিডার প্রলয় চক্রবর্তীর সঞ্চালনায় শুরুতেই স্বাগত বক্তব্য দেন পোস্টগ্রাজুয়েট স্টাডিজ অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. কাজী মেহেতাজুল ইসলাম এবং সুরমা ইন্টারন্যাশনালের সিইও মো. মুকলেছুর রহমান।

সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. জাহিদুল ইসলাম, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় রিসার্চ সিস্টেমের পরিচালক প্রফেসর ড. ছফি উল্লাহ ভূঞা এবং ভেটেরিনারি, এনিম্যাল ও বায়োমেডিক্যাল সায়েন্সেস অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. ছিদ্দিকুল ইসলাম বিশেষ অতিথি হিসেবে কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য প্রদান করেন।

আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্রের বিজ্ঞানী ড. শফিউল আলম, বাংলাদেশ পরমানু শক্তি কমিশনের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. হাসানুজ্জামান ভেক্টরবাহিত রোগের উপর তথ্য সমৃদ্ধ প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। পরবর্তীতে একটি প্যানেল আলোচনা শুরু হয়। ভারতের পাঞ্জাব কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. সন্দীপ সিং, সিকৃবির এপিডেমিওলোজি ও পাবলিক হেলথ বিভাগের প্রফেসর. ড. সায়েম উদ্দিন আহম্মেদ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. জাহিদুল ইসলাম, সিকৃবির চিফ মেডিক্যাল অফিসার ডা. অসীম রন্জন রায় এই আলোচনায় অংশ নেন। জ্ঞানগর্ভ এই আলোচনাটি পরিচালনা করেন প্যারাসাইটোলজি বিভাগের ড. তিলক চন্দ্র নাথ।

দিনব্যাপি কর্মশালার প্রধান আকর্ষণ ছিলো প্রশ্নোত্তর পর্ব। অংশগ্রহণকারীরা ভেক্টর-বাহিত রোগ বিশেষ করে মশা নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন করেন। বিশেষজ্ঞরা সেসব সমস্যা মন দিয়ে শোনেন এবং জ্ঞানগর্ভ উত্তরের মাধ্যমে সমাধান দেন।