সিকৃবিতে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপিত

সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪ তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপিত হয়েছে।

জাতীয় দিবস উদযাপন কমিটির উদ্যোগে ১৭ মার্চ সকাল ১০টায় প্রশাসন ভবনের সামনে থেকে একটি আনন্দ শোভাযাত্রা বের হয়ে ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে বলে জানিয়েছে জনসংযোগ ও প্রকাশনা দপ্তর। জাতির জনকের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রশাসন ভবনের সামনে স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. আল মামুনের ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ডা. মো. জামাল উদ্দিন ভূঞা।

এসময় আরো শ্রদ্ধা জানান জাতীয় দিবস উদযাপন কমিটি, শিক্ষক সমিতি, ছাত্রলীগ সিকৃবি শাখা, অফিসার পরিষদ, গণতান্ত্রিক শিক্ষক পরিষদ, প্রভোস্ট কাউন্সিল, গণতান্ত্রিক অফিসার পরিষদ, কর্মচারী পরিষদ, কৃষ্ণচূড়া সাংস্কৃতিক সংঘসহ বিভিন্ন অনুষদের শিক্ষকবৃন্দ, বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ প্রমুখ।

শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ডা. মো. জামাল উদ্দিন ভূঞা বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর আত্মজীবনী পড়ে এবং তাঁর বিভিন্ন বক্তৃতা শুনে বুঝতে পেরেছি তিনি ভালোবাসা দিয়ে গণমানুষের হৃদয় জয় করেছিলেন। জোর-জবরদস্তি করে কখনো এগিয়ে যাওয়া যায় না।’

প্রতিকূল পরিবেশে টিকে থাকার সাহস তিনি বঙ্গবন্ধু থেকে শিখেছেন উল্লেখ করে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার যে ডাক দিয়েছেন, তার জন্য যার যার অবস্থান থেকে আমাদের এগিয়ে আসতে হবে।’ তিনি শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় আরো মনঃযোগ দিতে ও উদ্ভাবনী চিন্তা করতে অনুরোধ করতেন।

পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় রিসার্চ সিস্টেম (সাউরেস) অফিসের সামনে একটি কৃষ্ণচূড়া বৃক্ষ রোপণ করেছেন ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ডা. মো. জামাল উদ্দিন ভূঞা।

এদিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকীর পাশাপাশি আজ পালিত হচ্ছে জাতীয় শিশু দিবস। শিশু দিবস উপলক্ষ্যে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগঠন পাঠশাল একুশের উদ্যোগে বিকাল ৫টায় মিনিটে শিশুদের মধ্যে ইফতার বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া সিকৃবি প্রশাসন থেকে বঙ্গবন্ধু ম্যুরাল এলাকায় আলোকসজ্জা করা হয়েছে। মসজিদ ও মন্দিরে বিশেষ প্রার্থনারও আয়োজন করা হয়েছে।

স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি, বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯২০ সালের এ দিনে গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়ার এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। কলকাতার ইসলামিয়া কলেজে অধ্যয়নকালে তিনি সক্রিয়ভাবে রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। কারাগারে থেকে এবং কারাগারের বাইরেও বঙ্গবন্ধু ভাষা আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি যখন ভাষা আন্দোলনের নেতাকর্মীদের হত্যা করা হয়, তখন বঙ্গবন্ধু কারাগারে অনশন করেছিলেন।

ভাষা আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচন এবং ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধসহ বাঙালির সব বড় আন্দোলনের নেতৃত্বে ছিলেন শেখ মুজিব। বঙ্গবন্ধু তার গতিশীল নেতৃত্বের মাধ্যমে পাকিস্তানি শাসকদের শোষণ-নিপীড়নের বিরুদ্ধে বাঙালি জাতিকে সংগঠিত করেছিলেন। ১৯৭১ সালে ৯ মাসের মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জিত হয়।