সবাইকে পেছনে ফেলল এমসি শিক্ষার্থীদের ‘স্মার্ট সিটি’ 

আবারও সিলেট জেলার মধ্যে নিজেদের শ্রেষ্ঠত্বের জানান দিলেন ঐতিহ্যবাহী মুরারিচাঁদ (এমসি) কলেজের শিক্ষার্থীরা।

এবার সিলেট জেলা প্রশাসন কর্তৃক আয়োজিত দুইদিনব্যাপী ‘ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলা-২০২২’-এ অংশগ্রহণকারী সিলেট জেলার অর্ধশতাধিক স্কুল ও কলেজের মধ্যে মুরারিচাঁদ (এমসি) কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণির শিক্ষার্থীদের উদ্ভাবিত প্রজেক্ট ‘স্মার্ট সিটি’ ১ম স্থান অধিকার করেছে।

তাদের উদ্ভাবিত প্রজেক্টের নাম ‘স্মার্ট সিটি’। এর উদ্ভাবক মাহদি আহমদ মাহি, মো. ইখতিয়ার উদ্দিন রাহাত, ছাহাত হাসান রিফাত এবং তাদের দলের মিনহাজুল ইসলাম, সীমান্ত মজুমদার, তপু দে ও রাকিবুল হাসান সিয়াম।

বর্ণনায় ছিলেন ইখতিয়ার উদ্দিন রাহাত, মাহদি আহমদ মাহি ও ছাহাত হাসান রিফাত। সার্বিক সহযোগিতায় ছিল বিজ্ঞান ক্লাব (মুরারিচাঁদ কলেজ, সিলেট) এবং তত্ত্বাবধানে ছিলেন সামসুল আহমদ সায়েম ও সানজিদা জাহিন প্রিমা। প্রজেক্টের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন এমসি কলেজের শিক্ষক শেখ মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম।

জানা গেছে, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য উন্নত শহর তৈরি করা প্রজেক্টটির মূল উদ্দেশ্য।

প্রজেক্টের বিবরণে বলা হয়, স্মার্ট সিটি নাম শুনে যদিও মনে হয় বর্তমানের একটি উন্নত শহর, তবে এটি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য উপযুক্ত একটি শহর। শহরের প্রবেশদ্বারে রয়েছে অটোমেটিক গেট সিস্টেম, যেটি গাড়ির চাকার চাপে খুলবে আবার গাড়ি প্রবেশের পর অটোমেটিক বন্ধ হয়ে যাবে। রয়েছে একটি নদী, যার উপর কোনো সেতু নেই। সেতু না দেওয়ার কারণ নদীর গতি প্রবাহকে ঠিক রাখা। শহরকে উপযোগী করে এমন একটি গাড়ি তৈরি করা হয়েছে, যেটি বায়ু শক্তিকে কাজে লাগিয়ে জল ও স্থল উভয়পথে চলতে সক্ষম। পাওয়ার সাপ্লাইয়ের জন্য রয়েছে ৩ ধরণের ব্যবস্থা- সোলার সিস্টেম, উইন্ড টারবাইন ও ম্যাগনেটিক ফিল্ড। একই সাথে সোলার সিস্টেম ও উইন্ড টারবাইন থেকে একমুখী (DC) ও ম্যাগনেটিক ফিল্ড থেকে বহুমুখী (AC) বিদ্যুৎ তৈরি করা হয়েছে।