শ্রীলঙ্কা দলের ভবিষ্যৎ ও ওয়ানডের ভাগ্য জানা যাবে মঙ্গলবার!

বিশ্বকাপ ক্রিকেট শেষ হওয়ার ঠিক দুইদিন পরেই বৈঠকে বসছে বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি। মঙ্গলবার একাধিক ইস্যু নিয়ে বৈঠক করবে তারা। যেখানে লস এঞ্জেলস অলিম্পিকে ক্রিকেটের অন্তর্ভুক্তি, ২০২৪-২৭ চক্রের লভ্যাংশ বিতরণসহ অনেক ইস্যুই প্রাধান্য পাবে। তবে এই বৈঠক থেকে শ্রীলঙ্কা এবং ওয়ানডে ক্রিকেট নিয়ে বড় কোন সিদ্ধান্ত আসার সম্ভাবনাই বেশি।

জানা যায়, মঙ্গলবারের ওই বৈঠকের উপরেই নাকি নির্ভর করছে শ্রীলঙ্কার নিষেধাজ্ঞা এবং ওয়ানডে ক্রিকেটের অস্তিত্ব। ক্রিকেট বোর্ডের উপর সরকারের হস্তক্ষেপের কারণে নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়েছে লঙ্কান ক্রিকেট। অন্যদিকে বিশ্বকাপের আগে থেকেই ওয়ানডে ক্রিকেট কমিয়ে আনার ব্যাপারে ব্যাপক আলোচনা চলছিল।

ইএসপিএন ক্রিকইনফো জানিয়েছে। গত সপ্তাহে এসএলসির স্থগিতাদেশ আইসিসির এবারের বোর্ড সভায় প্রাধান্য পাবে। স্থগিতাদেশের সম্ভাব্য শর্তের পাশাপাশি আগামীবছর পুরুষদের অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের আয়োজক হিসেবে শ্রীলঙ্কার নাম থাকবে কিনা তা নিয়েও আলোচনা হবে।

এছাড়া প্রাধান্য পাবে ওয়ানডে ক্রিকেটের ভবিষ্যত নিয়ে। সম্প্রতি বাতিল হওয়া ১৩ দলের ওডিআই সুপার লিগ শুরুর জন্য অন্তত দুটি বোর্ড আলোচনা করবে। তবে ২০২৭ বিশ্বকাপের জন্য ১৪ দলের ফরম্যাট আগেই চূড়ান্ত হয়ে আছে। সেক্ষেত্রে ২০২৮ সাল থেকেই শুরু হবে নতুন ওয়ানডে সুপার লিগ।

এছাড়া পরবর্তী বিশ্বকাপের অন্যতম আয়োজক জিম্বাবুয়ে বর্তমান বিশ্বকাপের বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয়তা পরিমাপ করার জন্য একটি বিশ্লেষণের পক্ষে মত দিয়েছেন৷

জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটের তাভেংওয়া মুকুহলানি বলেছেন, “এই বিশ্বকাপটি রাগবি বিশ্বকাপের সাথে একই সময়ে হয়েছিল, তাই এটি দর্শকদের তুলনা করার এবং একটি খেলা হিসাবে আমাদের বিশ্বব্যাপী প্রভাব পরিমাপ করার একটি ভাল সুযোগ হবে।”

ওয়ানডে ক্রিকেট জনপ্রিয় নয় এমন শঙ্কাও প্রকাশ করেছেন তিনি, ‘এটা মনে হয়েছিল যে রাগবি বিশ্বকাপ বেশি জনপ্রিয় ছিল। বিশেষ করে যে দেশে দুটি খেলাই জনপ্রিয়, সেসব দেশে। আমি মনে করি সমস্যাটি আসলে ওডিআই ফরম্যাটে। বিশ্বকাপে পর্যাপ্ত দল নেই, এমনকি ১৪টি দলও যথেষ্ট নয়। এবং সুপার লিগ ছাড়া এর অস্তিত্ব থাকবেনা।

তবে ওয়ানডে ক্রিকেটের যথেষ্ট গুরুত্ব দেখছেন তিনি, ‘আমাদের ওয়ানডে ক্রিকেট দরকার। আমরা এটাকে হারাতে দিতে পারিনা। এটা এখনো আমাদের এবং অন্য অনেক দেশের জন্য অর্থের উৎস।’