লাখাইয়ে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর ক্ষমতায়নে এএনসি’র ষান্মাসিক সভা

লাখাইয়ে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর ক্ষমতায়নে এএনসি (এডভোকেসি নেটওয়ার্ক কমিটি)-এর ষান্মাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) দুপুরে উপজেলার বুল্লাবাজারস্থ শাহ্ বায়েজিদ (রহ.) ইসলামি একাডেমিতে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা এএনসি’র চেয়ারপার্সন ও লাখাই প্রেসক্লাব এর সাধারণ সম্পাদক মো. বাহার উদ্দিন।

যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন আহমেদ রিপনের সঞ্চালনায় সভায় অতিথিবৃন্দের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ওয়েভ ফাউন্ডেশনের সিলেট ডিভিশনাল এসিস্ট্যান্ট ফ্যাসিলেটেটর মোতাব্বির হোসেন।

অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন, লাখাই এএনসি’র ভাইস চেয়ারপারসন সুরমা হিজরা, লাখাই প্রেসক্লাবের সভাপতি ও এএনসির নির্বাহী সদস্য অ্যাডভোকেট আলী নোয়াজ, এএনসির সদস্য সাংবাদিক বিল্লাল আহমেদ, এএনসির সদস্য খাইরুন্নেসা চিশতি পপি, প্রানেশ রন্জন দাস, ছায়েদুর রহমান, খাদিজা আক্তার কমলা, রসময় শীল, দৌলত রবিদাস, তাসমিয়া জান্নাত সুমা, ফরিজুল ইসলাম দুলারি আক্তার, রুবিনা আক্তার রুবি, মাওলানা ওলিউল্লাহ জালালী, শাহীনুর রহমান মোল্লা শাহীন প্রমুখ।

সভায় লাখাই উপজেলার পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর দক্ষতা উন্নয়নে সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের মাধ্যমে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এছাড়া এ.এন.সির নিবন্ধন করার বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। আর এ পরিকল্পনা ও সিদ্ধান্তসমূহ বাস্তবায়নের লক্ষে এডভোকেট আলী নোয়াজকে আহ্বায়ক করে ৭ সদস্য বিশিষ্ট একটি উপকমিটি গঠন করে দেয়া হয়।

এছাড়া ভাতা বঞ্চিত প্রতিবন্ধীদের তালিকা তৈরি ও শিক্ষা উপবৃত্তি বঞ্চিত দলিত শিক্ষার্থীদের তালিকা তৈরি করে সংশ্লিষ্ট সরকারি দপ্তর জমা দিয়ে বঞ্চিতদের ভাতা ও শিক্ষা উপবৃত্তি প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে এডভোকেসি করার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে গঠিত উপকমিটির কার্যক্রম চলমান রাখার বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। পাশাপাশি আগামী ৬ মাসের মধ্যে এসব পরিকল্পনা বাস্তবায়নের সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়।

‘পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর ক্ষমতায়ন ও বাংলাদেশের উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় সক্রিয় অংশগ্রহণ প্রকল্প’-এর আওতায় ইউরোপীয়ান ইউনিয়নের আর্থিক এবং ক্রিশ্চিয়ান এইডের কারিগরি সহযোগিতায় ওয়েভ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে সভায় এএনসির ভাইস চেয়ারপারসন সুরমা হিজরা তাঁর বক্তব্যে বিগত সময়ে তাঁর নিজের উদ্যোগে গৃহীত কার্যক্রমের বিশদ বিবরণ তুলে ধরে বলেন, ‘আমি ইতিমধ্যে আমার গ্রামের বাড়ি ভাদিকারা গ্রামে নিজের ব্যক্তিগত তহবিল থেকে লক্ষাধিক টাকা ব্যয়ে জনভোগান্তি লাঘবে দুইটি কালভার্ট নির্মাণ করে দিয়েছি। গরীব অসহায়দের সাহায্যের অংশ হিসাবে বিভিন্ন ধরণের কাজ করে আসছি। এক হতদরিদ্র গর্ভবতী নারীর সিজারিয়ান অপারেশনের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ সহায়তা ও চিকিৎসা গ্রহণে সার্বিক ব্যবস্থা করে দিয়েছি। এছাড়াও একজন মুমূর্ষু রোগীকে হবিগঞ্জে নিয়ে চিকিৎসা করতে ও আর্থিক সহায়তা করেছি।’

সুরমা হিজরা আরোও বলেন, ‘আমরা সবাই যেন গরীব অসহায় পরিবারের পাশে দাঁড়াতে পারি। আর এ ক্ষেত্রে সদিচ্ছাই মূখ্য বিষয়।’