বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালিয়ে জরিমানার কবলে রোহিত

বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালাতে গিয়েই মৃত্যুর দরজায় পৌঁছে গিয়েছিলেন ভারতের উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান ঋষভ পান্ত। ভাগ্যের জোরে বেঁচে ফিরেছেন। তবে এখনো মাঠে ফেরা হয়নি।

সতীর্থের সেই করুণ পরিণতি দেখেও শিক্ষা হয়নি রোহিত শর্মার। ভারত অধিনায়কের যে শিক্ষা হয়নি, তার প্রমাণ তিনি নিজেই দিলেন। বাংলাদেশ ম্যাচের আগে বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালাতে গিয়ে জরিমানা গুনতে হয়েছে রোহিত শর্মাকে। তা-ও একবার নয়, তিন বার জরিমানা গুনেছেন ভারত অধিনায়ক।

এবারের বিশ্বকাপে ভারত নিজেদের সর্বশেষ ম্যাচটা খেলেছে আহমেদাবাদে, পাকিস্তানের বিপক্ষে। ঐ ম্যাচটি খেলেই স্ত্রীকে নিয়ে হেলিকপটারে করে মুম্বাই গিয়েছিলেন রোহিত শর্মা। মুম্বাই থেকেই বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচের ভেন্যু পুনেতে ফিরছিলেন রোহিত। তো কোনো কারণে দেরি হয়ে গিয়েছিল বলেই কি না, নাকি শখের বশে; মুম্বাই থেকে পুনে যাওয়ার পথে স্বাভাবিকের চেয়েও অনেক বেশি গতিতে গাড়ি চালান রোহিত। বেপারোয়া গতিতে গাড়ি চালাতে গিয়ে তিন বার পুলিশ চেক পোস্টেই ধরা পড়েছেন। ট্রাফিক আইন ভঙ্গের দায়ে তিন বারই তার নামে জরিমানার চালান কাটা হয়েছে। ভদ্র ছেলের মতো রোহিত তিন বারই বিনা বাক্য ব্যয়ে জরিমানার টাকা পরিশোধ করেছেন।

দ্রুতগতিতে গাড়ি চালিয়ে জরিমানা গোনার কাণ্ড তো আছেই; বাংলাদেশ ম্যাচের আগে গতকাল আরো একটি কাণ্ড ঘটিয়েছেন ভারত অধিনায়ক। গতকাল দলের অনুশীলন সেশনে বোলিং অনুশীলন করেছেন রোহিত শর্মা। তা তিনি করতেই পারেন। নিখাঁদ ব্যাটসম্যান হলেও অফস্পিন বলও করতে পারেন।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তিন সংস্করণ মিলিয়ে ১১টি উইকেটও আছে তার (টেস্টে ২টি, ওয়ানডেতে ৮টি, টি-টোয়েন্টিতে ১টি)। তাই বোলিং প্র্যাকটিকস তিনি করতেই পারেন। কিন্তু ঘটনা হলো, গতকাল তিনি বোলিং অনুশীলনটা শুরু করেন দলেল অন্যতম সেরা স্পিনার রবীন্দ্র জাদেজাকে থামিয়ে দিয়ে। বোলিং করতে যাচ্ছিলেন জাদেজা। তাকে থামিয়ে রোহিত নিজেই বোলিং করা শুরু করেন। সেই ভিডিও আবার সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

কুলদ্বীপ যাদব, রবীন্দ্র জাদেজা, রবিচন্দ্রন অশ্বিন তো আছেনই। তার সঙ্গে রোহিতও বল হাতে ধার দিয়ে রাখলেন। তাহলে বাংলাদেশকে কি আজ স্পিন দিয়েই পুড়িয়ে মারার পরিকল্পনা ভারত অধিনায়কের।

সিলেট ভয়েস/এএইচএম