গোলাপগঞ্জে সরকারি এমসি একাডেমি আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রিতদের মাঝে বিদায়বেলা নগদ অর্থ ও চাল বিতরণ করা হয়েছে।
রোববার (২৬ জুন) বিকেলে আনুষ্ঠানিকভাবে আশ্রিতের বিদায় দেওয়া হয়। সেই সাথে এমসি একাডেমির আশ্রয়কেন্দ্র বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
এসময় বক্তব্য রাখেন- উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা অভিজিৎ কুমার পাল, এমসি একাডেমির অধ্যক্ষ সুজিত কুমার তালুকদার, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. রুহেল আহমদ।
পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, আশ্রয়কেন্দ্রের পরিচালনাকারী মো. রুহেল আহমদ বলেন- গত শনিবার থেকে উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মঞ্জুর শাফি চৌধুরী এলিমের দিক নির্দেশনায় এ আশ্রয়কেন্দ্রটি পরিচালিত হয়ে আসছিল। আমাদের যতটুকু সম্ভব হয়েছে সাধ্যনুযায়ী বন্যাদূর্গত মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করেছি। সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এম.পি, উপজেলা চেয়ারম্যান মঞ্জুর কাদির শাফি চৌধুরী এলিম, উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি লুৎফুর রহমান অনেকেই আশ্রয়কেন্দ্রে আর্থিক ও সার্বক্ষনিক খোঁজখবর রেখেছেন এবং অনেক বিত্তবান খাদ্য দিয়ে সহযোগিতা করেছেন।
তিনি বলেন- ‘তারা আজ চলে গেলেও যতদিন বন্যা না কমছে তাদের খোঁজ রাখা হবে। সেই সাথে বসতঘর যাদের ভেঙে গেছে তাদেরকে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা জন্য চেষ্টা করা হবে। আজকের পর থেকে এমসি একাডেমির আশ্রয়কেন্দ্র বন্ধ ঘোষণা করা হলো।’
এসময় উপস্থিত ছিলেন- এমসি একাডেমির শিক্ষক অজিত পাল, ক্রীড়া শিক্ষক ওয়াহিদুজ্জামান, শিক্ষক ইসলাম উদ্দিন, পৌর আওয়ামী লীগ নেতা ওলিউর রহমান, তাজির উদ্দিন, সুমন আলী, উপজেলা যুবলীগ নেতা রুহুল ইসলাম, পৌর যুবলীগ নেতা আফজাল হোসেন আক্তার, জেলা ছাত্রলীগ নেতা আপন ইকবাল তানভীর, উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা রাসেল আহমদ রাজু, শামিম আহমদ প্রমুখ।
এসময় আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রিত ৫৮টি পরিবারের মাঝে নগদ ১ হাজার টাকা ও ৩ কেজি চাল বিতরণ করা হয়। সেই সাথে আশ্রয়কেন্দ্র থেকে বিদায় হলেও বাড়িতেও তাদের সার্বক্ষণিক খোঁজখবর নেওয়া হবে বলে জানানো হয়।