বিএনপির অবরোধে চরমোনাইর সমর্থন, সরকারকে হুঁশিয়ারি

সরকার পতনের একদফা দাবিতে হরতাল ও অবরোধের মত কঠোর কর্মসূচি দিয়ে আন্দোলন করছে বিএনপি ও জামায়াত। এতাধিন প্রকাশ্যে কিছু নাবললেও এবার তাদের আন্দোলনে সমর্থন জানিয়েছে চরমোনাই পীরের দল ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। একই সাথে সরকারের উদ্দেশে কড়া হুঁশিয়ারিও দিয়েছে এই ইসলামী দলটি।

শুক্রবার (৩ নভেম্বর) সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত মহাসমাবেশ থেকে ইসলামী আন্দোলনের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম চরমোনাই বিরোধী দলগুলোর চলমান আন্দোলনে সমর্থন ঘোষণা করেন।

আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে বিরোধী দলগুলোর গ্রেফতার হওয়া সব নেতাকর্মীর মুক্তি দাবি করে চরমোনাই পির বলেন, সরকার দাবি না মানলে ১০ নভেম্বরের পর সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

তিনি বলেন, দেশের সরকার যখন যা খুশি করবে আর এ দেশের জনগণ নাকে তেল দিয়ে ঘুমাবে তা হতে পারে না। ২০১৪ আর ১৮ সালের মতো সাজানো নির্বাচন এ দেশে আর হতে দেওয়া হবে না।

রেজাউল করিম বলেন, আজ তিন নভেম্বর। আজ সরকারের মেয়াদ শেষ। এ কারণেই আজকের দিনে মহাসমাবেশের তারিখ নির্ধারণ করেছি।

সকাল থেকেই মহাসমাবেশে যোগ দিতে ঢাকাসহ সারা দেশের হাজার হাজার নেতাকর্মীরা ব্যানার, ফেস্টুন, জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকাসহ খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জড়ো হতে শুরু করেন। সেখানে সকাল ১০টা থেকেই নেতারা বক্তব্য শুরু করেন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নেতাকর্মীদের ঢল নামে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে।

এ সময় নেতাকর্মীদের সরকারবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দিতে শোনা গেছে। এখনো নেতাকর্মীরা ব্যানারসহ খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে আসছেন। ইতোমধ্যে কানায় কানায় পূর্ণ সমাবেশস্থল।

পৌনে ১টার দিকে নামাজের জন্য সমাবেশে বক্তব্যে স্থগিত রাখা হয়। নেতাকর্মীরা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানেই জুমার নামাজ আদায় করেন। সোয়া ১ টার দিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মাটিতে চাদর, পাটি, গামছা এবং জায়নামাজ বিছিয়ে নামাজ আদায় করেন নেতাকর্মীরা।

‘ব্যর্থ নির্বাচন কমিশন বাতিল, সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন পদ্ধতির প্রবর্তন, বিদ্যমান রাজনৈতিক সংকট উত্তরণে সংসদ ভেঙে দিয়ে জাতীয় সরকারের অধীনে একটি সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবিতে’ এই মহাসমাবেশ করছে ইসলামী আন্দোলন। এতে সভাপতিত্ব করছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির চরমোনাই পির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম।