এশিয়ান কাপ বাছাই ফুটবলে ‘ই’ গ্রুপে বাহরাইন নিঃসন্দেহে ফেভারিট। র্যাঙ্কিং-ই জানিয়ে দিচ্ছে তাদের শক্তিমত্তার কথা। তুর্কমেনিস্তান ও মালয়েশিয়ার পর বাংলাদেশের অবস্থান। বুধবার মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম সেরা দলটির বিপক্ষে আজ বিকাল ৩টা ১৫ মিনিটে তাই কঠিন চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে জামাল ভূঁইয়াদের। হাভিয়ের কাবরেরার পরিকল্পনা লো ডিফেন্ডিংয়ে বাহরাইনকে আটকানো। তার পরেও এই ম্যাচে বিশ্বনাথ-বাদশাদের পুরো ৯০ মিনিট চাপে রাখতে সক্ষম আব্দুল জব্বার-রোমাইরিরা।
নিজেদের রক্ষণ অটুট রাখতে বিশেষ করে তিন ফরোয়ার্ড থেকে সাবধান থাকতে হবে বাংলাদেশকে। এর মধ্যে তাদের গোল মেশিন ১১ নম্বর জার্সিধারী ইসমাইল আব্দুলআতিফ সবচেয়ে অভিজ্ঞ। সবচেয়ে বেশি গোলও তার ঝুলিতে। ১২৬ ম্যাচে ৪৭টি গোল করেছেন ৩৫ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড। খেলে থাকেন আল খালিদিয়া ক্লাবে।
সেসব গোলের মধ্যে একটি বেশ আলোচিতও। ২০০৯ সালে সৌদি আরবের বিপক্ষে করা তার ইনজুরি সময়ের গোল বাহরাইনকে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের প্লে-অফের চূড়ান্ত পর্বে তুলেছে। আরেক ৩১ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড মোহামেদ আল রোমাইরি ৪৪ ম্যাচে করেছেন ১৬ গোল। খেলে থাকেন মানামা ক্লাবে। তিনি পিওর নম্বর ৯! এরপরই আছেন ৩০ বছর বয়সী মাহাদি আব্দুল জব্বার। তার গোল সংখ্যা ৯, খেলেছেন ২৮ ম্যাচ।
বাহরাইন দলে শুধু ফরোয়ার্ডরা গোল পাচ্ছেন তা কিন্তু নয়, লক্ষ্যভেদের জন্য দক্ষ মিডফিল্ডাররাও। মিডফিল্ডার আল মাদান ৬২ ম্যাচে করেছেন ১১ গোল। মোহামেদ মারহুন ৩৬ ম্যাচে ১২ ও কামিল আল আসওয়াদ ৭৭ ম্যাচে ১০ গোল করে নিজেদের মুন্সিয়ানা দেখিয়ে আসছেন। এছাড়া মারহুন, আল মাদান ও আসওয়াদদের কথাও উল্লেখ করার মতো।
তাই বাংলাদেশের রক্ষণ নিশ্ছিদ্র রাখতে ম্যাচ থেকে মনোযোগ হারালে চলবে না। তাহলেই বিপদ। সুযোগ পেলে প্রতি আক্রমণে উঠার সুযোগ পাবে বাহরাইন। এখন কুয়ালালামপুরের বুকিত জলিল মাঠে বাংলাদেশ কতটুকু সফল হয়, সেটাই দেখার অপেক্ষা।