দেশের উন্নয়নে প্রবাসীদের মূল্যায়ন করতে হবেঃ উপাচার্য ড.জহিরুল হক

সিলেটের মেট্রোপলিটন ইউনির্ভাসিটির উপাচার্য ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক বলেছেন, দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে প্রবাসীদের অবদানকে যথাযথ মূল্যায়ন করতে হবে। প্রবাসীদের জীবন ও সম্পত্তির নিরাপত্তা বিধান করতে হবে। মনে রাখতে হবে প্রবাসীরা হচ্ছেন আমাদের শ্রেষ্ট সন্তান।

গত বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) সকালে মালিক-নুরজাহান ফাউন্ডেশন’র উদ্যোগে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প ও ঔষুধ বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানটি সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলার উছমানপুর গ্রামের সৈয়দ আব্দুল মালিক এর বাড়ীতে অনুষ্ঠিত হয়।

উপাচার্য প্রবাস জীবনের অভিজ্ঞতায় বলেন, প্রবাসীদের দেশের প্রতি মায়া-আবেগ বেশি থাকে। সেই জন্য তারা বার বার দেশে ছুটে আসেন। তারা মনে করেন দেশের মানুষের প্রতি তাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য রয়েছে। সেই দায়িত্ববোধ থেকে সৈয়দ মুমিনের মতো ব্যক্তিরা ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পসহ নানা জনহিতকর কাজ করে যাচ্ছেন।

তিনি আরো বলেন, সিলেটের জনগনের জীবন মান ও উন্নয়ন দেখলে কোনো কোনো ক্ষেত্রে মনে হবে আলোর নিচে অন্ধকার। সিলেট প্রবাসী অধ্যুষিত এলাকা অথচ শিক্ষা-চিকিৎসা ও যোগাযোগসহ সার্বিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে পিছিয়ে রয়েছে। এখানে বিত্তশালীদের পাশাপাশি চরম দরিদ্র লোকজনও বসবাস করেন। অনেকে লোকলজ্জায় হাতও পাততে পারেন না। তাই রাষ্ট্রের পাশাপাশি বিত্তবানদের এসকল দরিদ্রদের পাশে দাঁড়ানো অদম্য উন্নয়নের পেছনে রয়েছে প্রবাসী আয়, তৈরী পোষাক রপ্তানী ও তরুণ জনগোষ্ঠির অক্লান্ত পরিশ্রম। প্রবাসীরা যদি কোন কারণে নাখোস হয়ে যান তাহলে রেমিট্যান্স কমে আমাদের রির্জাভে টান পড়বে।

অনুষ্ঠানে যুক্তরাজ্যে যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আব্দুল মুমিন এর সভাপতিত্বে ও সমাজকর্মী সৈয়দ শিপনের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উছমানপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ওয়ালীউল্লাহ বদরুল, উছমানপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ডা. তখলিছ আলী, বিশিষ্ট সমাজসেবী সৈয়দ আব্দুল হামিদ, যুক্তরাজ্যের কেন্ট এর সিটি কাউন্সিলর মুহিবুর রহমান, সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সাবেক দপ্তর সম্পাদক এস. এম সুজন, ড্রীম সিলেট’র সম্পাদক শেখ আব্দুল মজিদ, ইউপি সদস্য আনোয়ার মিয়া, মিনহাজ আহমদ সার্জন, মকদ্দছ আলী, লাল মিয়া, মোঃ শফিক, খোকন মিয়া প্রমুখ।

অনুষ্ঠান শেষে মোনাজাত পরিচালনা করেন উছমানপুর জামে মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুহিবুর রহমান। এদিন যুক্তরাজ্যের ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা আহবায়ক সৈয়দ মুমিনের পিতা ও মরহুমা মাতার নামে প্রতিষ্ঠিত মালিক-নূরজাহান ফাউন্ডেশনের আয়োজিত মেডিক্যাল ক্যাম্পে কয়েকশ লোক বিনামূল্যে চিকিৎসা ও ঔষধ গ্রহণ করেন।