দুর্ঘটনার ৭ ঘণ্টা পর ঢাকা-সিলেট রুটে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার সাত ঘণ্টা পর ঢাকা-সিলেট ও ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।

সোমবার (২৩ অক্টোবর) রাত ১০টা ৪০ মিনিটে ঢাকা থেকে সিলেটগামী কালনী এক্সপ্রেস ট্রেন ভৈরব রেলওয়ে স্টেশন দিয়ে অতিক্রম করেছে।

রাত ১১টার দিকে ভৈরব রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার মো. ইউসুফ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, কালনী এক্সপ্রেস ভৈরব স্টেশন ছেড়ে সিলেটের পথে রওনা হয়েছে। অন্য ট্রেনও এখন চলাচল করবে।

এদিকে, দুর্ঘটনাকবলিত এগারোসিন্দুর ট্রেনটি উদ্ধার কাজ অব্যাহত রয়েছে। রাত সাড়ে ১০টা উদ্ধারকারী ট্রেন উদ্ধার কাজ শুরু করেছে। তবে বৃষ্টির কারণে উদ্ধার কাজে কিছুটা ব্যাঘাত ঘটছে।

আরও পড়ুন : ভৈরবে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত ২৩

এর আগে রাত ৮টার দিকে দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ বলেন, ইতোমধ্যে আমরা ১৭ জনের মরদেহ উদ্ধার করেছি। আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আমাদের এখানে পর্যাপ্ত ডাক্তার আছেন। যাদের উন্নত চিকিৎসা দরকার তাদের ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। নিহতদের মরদেহ দাফনের জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২৫ হাজার টাকা করে দেওয়া হচ্ছে।

কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ বলেন, ইতোমধ্যে উদ্ধারকারী ট্রেন দুর্ঘটনাকবলিত যাত্রীবাহী ট্রেনটি উদ্ধারে কাজ শুরু করেছে। খুব তাড়াতাড়ি ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হবে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ভৈরব জংশনের কাছাকাছি জগন্নাথপুর এলাকায় ঢাকাগামী এগারসিন্দুর ও ঢাকা থেকে চট্টগ্রামগামী মালবাহী একটি ট্রেনের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতদের উদ্ধারে এগিয়ে আসেন স্থানীয়রা। পরে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা উদ্ধার কাজে যোগ দেন।

স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মালবাহী ট্রেনটি ঢাকা থেকে চট্টগ্রামের দিকে যাচ্ছিল আর যাত্রীবাহী ট্রেনটি যাচ্ছিল কিশোরগঞ্জ থেকে ঢাকায়। ভৈরব জংশনের আউটার পয়েন্ট ক্রসিংয়ে যাত্রীবাহী ট্রেনের শেষ দুই বগিতে ধাক্কা দেয় মালবাহী ট্রেনটি। এসময় যাত্রীবাহী ট্রেনের কয়েকটি বগি উল্টে যায়।