জোড়া সেঞ্চুরিতে রানের পাহাড় গড়লো আফগানিস্তান

দুই ওপেনার রহমানউল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহিম জাদরানের জোড়া সেঞ্চুরিতে টাইগারদের সামনে রানের পাহাড় গড়েছে আফগানিস্তান। নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে আফগানদের সংগ্রহ ৯ উইকেটে ৩৩১।

ওয়ানডে ক্রিকেটে এটাই বাংলাদেশের বিপক্ষে আফগানদের দলীয় সর্বোচ্চ রান। এর আগে ২০১৮ সালের এশিয়া কাপে ২৫৫ রান করেছিল আফগানরা। সিরিজে সমতা ফেরাতে হলে তামিমবিহীন বাংলাদেশকে ৩৩২ রানের অসম্ভব টার্গেট পেরুতে হবে। কারণ বৃষ্টি আইনে ১৭ রানের জয় নিয়ে সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে আছে আফগানরা। এর আগে বাংলাদেশ দলের সর্বোচ্চ ৩২২ রান তাড়া করে জেতার রেকর্ড আছে দুবার। ২০১৫ সালে স্কটল্যান্ডের বিরুদ্ধে তিন উইকেট হারিয়ে ৩২২ রানের লক্ষ্য পেরোয় বাংলাদেশ। এরপর ২০১৯ সালে খর্ব শক্তির ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধেও ৩২২ রানের লক্ষ্য পেরিয়ে জয়লাভ করে টাইগাররা।

শনিবার (৮ জুলাই) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস জিতে সফরকারী আফগানদের প্রথেমে ব্যাটিংয়ে পাঠায় বাংলাদেশ।

ব্যাটিংয়ে নেমেই ইনিংসের শুরু থেকে রীতিমতো তাণ্ডব চালাতে থাকেন দুই ওপেনার রহমানউল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহিম জাদরান। উদ্বোধনী জুটিতে তারা ২২১ বলে ২৫৬ রান তোলেন। যা আফগানিস্তানের জন্য যেকোনো জুটিতে সর্বোচ্চ রান। এ রেকর্ড গড়ার পথে রহমানউল্লাহ-ইব্রাহিম জাদরান ছাড়িয়ে যান জাভেদ আহমাদি ও করিম সাদিককে। তারা ২০১২ সালে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজায় উদ্বোধনী জুটিতে ১৪২ রানের রেকর্ড গড়েছিলেন।

৩.১ ওভারে সাকিব আল হাসানের বল এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন গুরবাজ। তার আগে ক্যারিয়ারের ২০তম ওয়ানডেতে চতুর্থ সেঞ্চুরি তুলে নেন তিনি। সাজঘরে ফেরার আগে ১২৫ বলে ১৩টি চার আর ৮টি ছক্কার সাহায্যে ক্যারিয়ার সেরা ১৪৫ রান করেন রহমানউল্লাহ।

রহমানউল্লাহ আউট হওয়র পর শুরু হয় আফগান ব্যাটারদের যাওয়া আসার খেলা। কোনো উইকেট না হারিয়ে ২৫৬ রান করা আফাগানিস্তান এরপর মাত্র ৭৫ রানের ব্যবধানে হারায় ৯ উইকেট।

তিন নম্বরে নেমে ৫ বলে ২ রানে ফেরেন রহমত শাহ। ৭ বলে ২ রানে মেহেদি হাসান মিরাজের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন আফগান অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ শহিদি। ১৫ বলে ১০ রানে মিরাজের দ্বিতীয় শিকার নজিবুল্লাহ জাদরান। তবে একপাশ আগলে রেখেছিলেন ওপেনার ইব্রাহিম জাদরান। সেঞ্চুরি তুলে নেওয়ার পর তাকে সাজঘরে ফেরান কাটার মাস্টার মোস্তাফিজুর রহমান। সাজঘরে ফেরার আগে ১১৯ বলে ৯টি চার আর একটি ছক্কার সাহায্যে ১০০ রান করেন ইব্রাহিম।

এরপর দ্রুতই সাজঘরে ফেরেন আফগান তারকা লেগ স্পিনার রশিদ খান, পেসার আজমতউল্লাহ ওমরজাই, অফ স্পিনার মুজিব উর রহমান ও বাঁ-হাতি পেসার ফজলহক ফারুকি।

তবে ৩৩২ রানের অসম্ভব লক্ষ্য তাড়ায় শুরুটা মোটেও ভালো হয় নি বাংলাদেশের। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশ দলের সংগ্রহ ১৭ ওভারে ৬৭। ইতিমধ্যেই ৪ উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ।