আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ। টস হেরে এদিন আগে ফিল্ডিং করতে নামে টাইগাররা। ইনিংসের প্রথম বল থেকেই স্লিপে তিনজন ফিল্ডার রেখেছেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। দুই পাশ থেকেই পেসারদের একের পর এক আগুনঝড়া ডেলিভারি সামলাতে হিমশিম খাচ্ছিলেন আইরিশ ব্যাটাররা। আগ্রাসী অধিনায়কত্বে ফলও মিলেছে দ্রুত।
লাঞ্চের আগেই তিন উইকেট হারিয়ে ধুঁকছে আয়ারল্যান্ড। আপাতত দলের হাল ধরেছেন হ্যারি টেক্টর ও কার্টিস ক্যাম্পার। দুইজনে ২৭ রানের নিরবিচ্ছিন জুটি গড়ার পর লাঞ্চ ব্রেকে গিয়েছে দুই দল।
ইনিংসের চতুর্থ ওভারে আইরিশ ওপেনার মুরে কমিন্সকে লেগ বিফোর উইকেটের ফাঁদে ফেলেন শরিফুল। এই বাঁহাতির ভিতরে ডোকা বল সরাসরি আঘাত করে কমিন্সের স্টাম্পে।
সাথে সাথে আউটের আবেদন করেন শরিফুল। আর তাতে সাড়া দিতে খুব বেশি সময় নেননি আম্পায়ার। ফেরার আগে ১০ বলে পাঁচ রান করেন কমিন্স। এদিন শুরু থেকেই আগ্রাসী ফিল্ডিং সাজিয়েছেন টাইগার অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।
ইনিংসের দশম ওভারে বিদায় ঘটে আরেক ওপেনার ম্যাককুলামের। দলীয় ২৭ রানে অফসাইডের বাইরে করা ইবাদত হোসেনের লেন্থ ডেলিভারি ম্যাককুলামের ব্যাট স্পর্শ করে চলে যায় দ্বিতীয় স্লিপে। প্রথম দফায় সেটি জমাতে না পারলেও দ্বিতীয়বারের চেষ্টায় সেটি তালুবন্দি করেন নাজমুল হোসেন শান্ত।
এরপর আইরিশ দলের হাল ধরেন ব্যালবার্নি ও টেক্টর। দলীয় ৪৮ রানে ব্যলবার্নিকে ফিরিয়ে দেন তাইজুল ইসলাম। আর এতে ভাঙে তাদের প্রতিরোধ। এরপর কার্টিস ক্যাম্পারকে নিয়ে আবারও প্রতিরোধ গড়েছেন টেক্টর।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তিন উইকেট হারিয়ে আইরিশদের সংগ্রহ ৬৫ রান। টেক্টর ১৮ ও ক্যাম্পার ব্যাটিং করছেন ৯ রানে।