জগন্নাথপুরে সেতু নির্মাণ কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন করলেন এমএ মান্নান

সাবেক পরিকল্পনা মন্ত্রী সুনামগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য এম এ মান্নান বলেছেন, বাংলাদেশে এখন উন্নয়নের মহাসড়কে। উন্নয়ন  কে এগিয়ে নিতে সবাইকে. আন্তরিকতার সাথে কাজ করতে হবে। তিনি বলেন, সরকারের উন্নয়নের পাশাপাশি এ দেশের তরুণ সমাজ উদ্যোক্তা হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলতে কাজ করছেন যা বেকারত্ব দূরীকরণে ভূমিকা রাখছে।

তিনি আরো বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন বড় উদ্যোক্তা। তাঁর উদ্যোগে আমরা এই দেশ পেয়েছি। আর তা়ঁর কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। দেশের এই অগ্রগতিতে সবাইকে ভূমিকা রাখতে দেশপ্রেমে উদ্ধুদ্ধ হয়ে কাজ করতে আহ্বান জানান।

বুধবার (৩ এপ্রিল)  দুপুরে সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার নলজুর নদীর গুদামের সামনের সড়কের আর্চ সেতুর কাজ পরিদর্শন শেষে গণমাধ্যমে এসব কথা বলেন।

এসময় উপজেলা  সহকারী কমিশনার (ভূমি) রিয়াদ বিন ইব্রাহিম ভূঞাঁ, স্হানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপজেলা প্রকৌশলী সোহরাব হোসেন, থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আমিনুল ইসলাম, জগন্নাথপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম, রানীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছদরুল ইসলাম, আওয়ামী লীগ নেতা লুৎফুর রহমান, উপজেলা যুবলীগ সভাপতি কামাল উদ্দিন, পৌর সভার প্যানেল মেয়র সাফরোজ ইসলাম, উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি আব্দুল মুকিত, ছাত্রলীগের সাবেক  ভারপ্রাপ্ত সভাপতি কল্যাণ কান্তি রায় সানী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

<span;>উল্লেখ্য, জগন্নাথপুর উপজেলা সদরে নলজুর নদীর ওপর ১৯৮৬ সালে জগন্নাথপুর  গুদামের সামনে ত্রাণ মন্ত্রনালয়ের বাস্তবায়নে একটি সেতু নির্মাণ করা হয়। ছোট  এ সেতুর কারণে যানজটের সৃষ্টি হলেও গুদামের সামনের সেতু ভেঙে সাবেক পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নানের প্রচেষ্টায় দৃষ্টি নন্দন আর্চ সেতুর কাজ শুরু হয়।

<span;> গত বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি প্রায় ১৪ কোটি টাকা বরাদ্দে এ সেতুর নির্মাণ কাজ উদ্বোধন করেন তৎকালীন পরিকল্পনা মন্ত্রী সংসদ সদস্য এম এ মান্নান। চলতি বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি কাজ শেষ হওয়ার কথা। ‘ভাটিবাংলা এন্টারপ্রাইজ’ নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করতে না পারায় আরও ছয় মাস সময় বাড়ানো হয়। সেতুর কাজ পরিদর্শন করে যথাসময়ে শেষ করতে তাগিদ দেন সাবেক পরিকল্পনা মন্ত্রী সংসদ সদস্য এম এ মান্নান।  এসময় স্হানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপজেলা প্রকৌশলী সোহরাব হোসেন কাজের অগ্রগতি অবহিত করে নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করার আশ্বাস দেন। বিভিন্ন শ্রেণিপেশার নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।