মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক বলেছেন, শিক্ষার গুণগত মান নিশ্চিত করতে নিয়মানুবর্তিতা ও শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের একাগ্রতাকে অগ্রাধিকার দেয়া প্রয়োজন। দেশে শিক্ষার পরিমাণগত দিকের তথা শিক্ষার হারের অগ্রগতি হয়েছে। কিন্তু মানসম্মত শিক্ষা তথা শিক্ষার গুণগতমানের উন্নয়নে আমরা পিছিয়ে পড়েছি।
তিনি বলেন, ৪র্থ শিল্প-বিপ্লব, টেকসই উন্নয়ন লক্ষমাত্রা ও বৈশ্বিক নানা সংকটের মোকাবেলায় আমাদের শিক্ষার গুণগত মান নিশ্চিত করতে হবে। এজন্য আধুনিক ও আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষাক্রম, অঙ্গীকারাবদ্ধ শিক্ষক, সময়মতো কোর্স সম্পন্ন ও ফলাফল প্রকাশ, শিক্ষাক্রমের ধারাবাহিক উন্নয়ন এবং আন্তর্জাতিক বিভিন্ন মানদন্ডের সাথে আমাদের শিক্ষাব্যবস্থার বাস্তব অবস্থার তুলনা করে সংকটসমূহ চিহ্নিত করে তার সংশোধন প্রয়োজন। মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি গুণগত ও মানসম্মত শিক্ষাদানে অঙ্গীকারাবদ্ধ।
বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) সকাল ১০টায় মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির স্প্রিং সেমিস্টার-২০২৩ (জানুয়ারি জুন ২০২৩) এর ফাইনাল পরীক্ষার ফলাফল আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
ইউনিভার্সিটির কনফারেন্স হলে ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক এর হাতে ই ফলাফল তুলে দেন পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক খন্দকার মকসুদ আহমেদ। পরে ভাইস চ্যান্সেলর একাডেমিক কাউন্সিল ও সিন্ডিকেট এর পোস্ট-ফেক্টোরাল অনুমোদন সাপেক্ষে এ ফলাফলে স্বাক্ষর ও প্রকাশ করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, ট্রেজারার প্রফেসর ড. সুরেশ রঞ্জন বসাক, স্কুল অব বিজনেস অ্যান্ড ইকোনমিকস এর ডিন প্রফেসর ড. মো. তাহের বিল্লাল খলিফা, স্কুল অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির ডিন প্রফেসর ড. মো. নজরুল হক চৌধুরী, ছাত্রকল্যাণ উপদেষ্টা প্রফেসর চৌধুরী এম. মোকাম্মেল ওয়াহিদ, অর্থনীতি বিভাগের প্রধান ও প্রক্টর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন, ইংরেজি বিভাগের প্রধান ড. রমা ইসলাম, ব্যবসা প্রশাসন বিভাগের ভারপ্রাপ্ত প্রধান দেবাশিষ রায়, আইন ও বিচার বিভাগের প্রধান গাজী সাইফুল হাসান, সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান ফুয়াদ আহমেদ, ইলেকট্রনিক এন্ড ইলেট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান কাজী অহিদুজ্জামান, ডাইরেক্টর (ফাইনান্স) ইনামুল হক, ডেপুটি রেজিস্ট্রার মিহির কান্তি চৌধুরী, উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক সুমনা আজিজ প্রমুখ।
ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক আরো বলেন, শিক্ষার গুণগত মান নিশ্চিত করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের নানা শাখা নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছে। তার মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শাখা হলো পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তর। পরীক্ষা গ্রহণ, উত্তরপত্র মূল্যায়ন ও ফলাফল প্রকাশের মতো বিষয়গুলো একই সুতোয় গাঁথা। শৃঙ্খলার যেকোনও ব্যত্যয় শিক্ষক বা শিক্ষার্থী কারও মঙ্গল বয়ে আনতে পারে না। এজন্য প্রয়োজন আন্তরিকতা, নিয়মানুবর্তিতা ও সময়ানুবর্তিতাসহ সকল পেশাদার গুণাবলির চর্চা। একটি আদর্শ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। শিক্ষার্থীর অভিভাবকসহ সকল স্টেকহোল্ডারের কাছে আমরা গুণগত শিক্ষা ও নির্ধারিত সময়ে কোর্স সম্পন্ন করতে দায়বদ্ধ। পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৭ কার্যদিবসের মধ্যে শিক্ষার্থীরা পরীক্ষার ফলাফল হাতে পৌঁছে দিতে পারায় আমি সংশ্লিষ্ট সকলের কাছে কৃতজ্ঞ।