চলছে প্রতিবাদী সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। এর ফাঁকে ফাঁকে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উচ্চারিত হচ্ছে সিলেটের সংস্কৃতিকর্মীদের কণ্ঠে। এরই মাঝে সমাবেশে উপস্থিত সিসিক মেয়র আরিফুল হক।
বিকাল সাড়ে ৪ টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত দর্শকসারিতে বসে শোনলেন নিজের দোষ। অতঃপর সকল অভিযোগের সমাধান করারও প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।
ঘটনাটি মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিকালে সুরমা নদীর তীরঘেঁষা সারদা হলের সামনে।
১৯৩৬ সালে বৃটিশ বিরোধী আন্দোলনের অগ্র সৈনিক সারদা চরণ শ্যামের নামে সিলেটের সুরমা নদীর পাড়ে গড়ে তোলা হয় ‘সারদা হল’। এরপর থেকে এই হলটি সিলেটের সকল সাংস্কৃতিক চড়াই-উৎরাই এর সাক্ষি হলেও গেলো এক যুগের বেশি সময় ময়লার গাড়ি রেখে হলের সামন দখল করেছে সিসিক। আর ভেতরে বিভিন্ন আসবাবপত্র রেখে ফটক তালা দিয়ে রাখা হয়েছে। এতে দুইশো আসন বিশিষ্ট ঐতিহ্যবাহী এই হলটি অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছে।
এমন অবস্থায় সময়ের পরিক্রমায় হল সংকটে পড়েছেন সিলেটের সংস্কৃতিকর্মীরা। দীর্ঘদিন থেকে এই হলটি দখলমুক্ত করে সংস্কৃতিকর্মীদের জন্য উন্মুক্ত করে দিতে বিভিন্ন মহলে ধর্ণা দিয়েও কোন কাজ না হওয়ায় প্রতিবাদী সাংস্কৃতিক সমাবেশের আয়োজন করেন সিলেটের সংস্কৃতিকর্মীরা।
বিকাল চারটায় সম্মিলিত নাট্য পরিষদের আয়োজনে এই প্রতিবাদী সমাবেশে সিলেটের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত হয়ে সংহতি জানান।
এসময় সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী উপস্থিত হয়ে নিজের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো শুনে আগামী নভেম্বর মাসের মধ্যে হল উন্মুক্ত করার প্রতিশ্রুতি দেন।
তিনি বলেন, আমি নগরবাসীর প্রতিনিধি, আপনাদের সেবক। আমার ভুল থাকলে এটি জানার অধিকার আমার আছে। এজন্য আমি এখানে এসেছি। সাংস্কৃতিক কার্যক্রম বিকশিত করতে আমি সব সময় আপনাদের পাশে ছিলাম, আগামীতেও থাকব। তাই যেহেতু আপাতত নগর ভবনের জায়গার সংকট, এজন্য এখানে কিছু জিনিস রাখা হচ্ছে। কিন্তু আমি কথা দিচ্ছি আগামী নভেম্বর মাসের মধ্যে এখান থেকে সকল কিছু সরিয়ে নিয়ে এটি সংস্কার করে সংস্কৃতিকর্মীদের ব্যবহার উপযোগী করে উন্মুক্ত করে দেবো।