সিলেট ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজে যথাযোগ্য মর্যাদা ও বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে সোমবার (২১ নভেম্বর) সশস্ত্র বাহিনী দিবস-২০২২ উদযাপিত হয়েছে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ লে. কর্নেল আবু হায়দার মো. আসাদুজ্জামান, পিএইচডি; উপাধ্যক্ষ, শিক্ষকমণ্ডলী, শিক্ষার্থী ও কর্মচারীবৃন্দ।
পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরুর পর মহামান্য রাষ্ট্রপতির বাণী, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বাণী এবং সেনাবাহিনী প্রধানের বাণী পাঠ করে শোনান নির্বাচিত শিক্ষকমণ্ডলী। দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভা, রচনা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা এবং প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়।
এছাড়া অধ্যক্ষের বিশেষ দরবার অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান অতিথির ভাষণে অধ্যক্ষ শুরুতেই সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, মুক্তিযুদ্ধের মহানায়ক, স্বাধীনতার মহান স্থপতি ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন। একই সাথে মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য এবং সম্ভম হারানো মা-বোনদের প্রতি অকৃত্রিম সম্মান প্রদর্শন করেন।
তিনি বলেন, আমাদের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাসে ২১ নভেম্বর গৌরবোজ্জ্বল ও অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ একটি দিন। ১৯৭১ সালের এই দিনে সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর সর্বাত্মক প্রতিরোধ যুদ্ধে পাক হানাদার বাহিনী দিশেহারা হয়ে পড়ে এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সর্বস্তরের জনগণের অপরিসীম ত্যাগ-তিতিক্ষার মাধ্যমে আমরা অর্জন করি মহান স্বাধীনতা। সশস্ত্র বাহিনী দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতীক। দেশের যেকোনো দুর্যোগকবলিত অঞ্চলে আর্তমানবতার সেবা এবং জান-মাল রক্ষায় সশস্ত্র বাহিনী যে আন্তরিকতা ও দায়িত্ববোধ নিয়ে বিপর্যস্ত জনগণের পাশে দাঁড়ায় তা জাতি কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ রাখবে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু সশস্ত্র বাহিনীর যে সুদূঢ় ভিত্তি রচনা করে গেছেন তারই উপর দাঁড়িয়ে আজ সশস্ত্র বাহিনীর পেশাদারিত্ব এবং কর্মদক্ষতার পরিচিতি দেশ ছাড়িয়ে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে স্বীকৃত ও প্রশংসিত হয়েছে।
তিনি উপস্থিত সকলকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে ও মুক্তিযুদ্ধেও হৃদয়ে চেতনা লালন করে নিজেদের সুনাগরিক হিসেবে গড়ে ওঠার মাধ্যমে দেশ গঠনে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান। পরিশেষে তিনি অনুষ্ঠান আয়োজনে নিয়োজিত সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।