সিলেটের কানাইঘাটে বন্ধুর হাতে নিহত ছাত্রদল নেতা আব্দুল মুমিনের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) বেলা আড়াই টায় নিহতের নিজ গ্রাম পৌরসভার ধনপুর জামে মসজিদ মাঠে তার নামাজে জানাযা শেষে মহল্লার কবরস্থানে দাফন করা হয়।
জানা গেছে, পৌরসভার ধনপুর গ্রামের তাজ উদ্দিনের ছেলে ছাত্রদল নেতা আব্দুল মুমিনের সাথে ব্যবসায়ী পার্শবর্তী দুর্লভপুর গ্রামের মৃত জায়ফর আলীর ছেলে যুবদল কর্মী রাজুর ঘনিষ্ট বন্ধুত্বের সম্পর্ক ছিল। তবে একই দলের কর্মী হলেও দু’জন দুই গ্রুপের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন।
এদিকে, গ্রুপ রাজনীতি নিয়ে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে দাবি করছে উপজেলা বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদল। এ নিয়ে পরস্পরের গ্রুপকে দোষারোপ করে কানাইঘাট বাজারে মিছিল করেছেন তারা। তবে এ হত্যাকাণ্ড রাজনৈতিক নয় বলে দাবি করছেন নিহতের মামা মাষ্টার হারুন রশিদসহ বিএনপির নেতাকর্মীরা।
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, ‘খুনি রাজুর সাথে একটি মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সম্পর্ক থাকা অবস্থায় রাজুর বিয়ে অন্য একটি জায়গায় ঠিক করা হয়। যে বিয়েটি আগামী শুক্রবার হবার কথা ছিল। তার বিয়ের কথা শুনে প্রেমের সর্ম্পক থাকা মেয়েটি রাজুর ঘনিষ্ট বন্ধু আব্দুল মুমিনের সাথে বিষয়টি শেয়ার করে বিভিন্ন তথ্য প্রদান করে। এতে আব্দুল মুমিন তার বন্ধু রাজুকে বিষয়টি বুঝানোর চেষ্টা করে। এরই জের ধরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
জানাজার নামাজে সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুমসহ জেলা ও উপজেলা বিএনপি এবং জামাতে ইসলামীর নেতৃবৃন্দ ছাড়াও কয়েক হাজার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
তবে খুনি রাজুকে গ্রেপ্তার করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক দল বিভিন্ন এলাকায় চিরুনী অভিযান অব্যাহত রেখেছে বলে জানিয়েছেন কানাইঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল আউয়াল
তাছাড়া ছাত্রদল নেতা আব্দুল মুমিনের হত্যাকারী রাজু আহমদকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করার জন্য জেলা ও উপজেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত সোমবার (১৮ নভেম্বর) বিকেল ৪টার দিকে প্রকাশ্যে দিবালোকে নির্মমভাবে ধারালো ক্ষুরের আঘাতে নিহত পৌর ছাত্রদলের যুগ্ম-আহবায়ক আব্দুল মুমিনের খুন করে তারি ঘনিষ্ট বন্ধু রাজু আহমদ।