করোনার নতুন ধরন শনাক্ত, টিকা নিশ্চিতের তাগিদ

দেশে করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট জেএন.১ শনাক্ত হয়েছে। জানা গেছে, এখন পর্যন্ত পাঁচজনের নমুনা পরীক্ষায় জেএন.১ উপধরন শনাক্ত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক ডা. তাহমিনা শিরীন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, এখন পর্যন্ত পাঁচজনের নমুনা পরীক্ষায় জেএন.১ উপধরন শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তদের মধ্যে এই মুহূর্তে ঢাকা এবং ঢাকার বাইরের রোগী আছেন। তবে তাদের মধ্যে কারও দেশের বাইরে থেকে আসার কোনো হিস্ট্রি নেই। তারা দেশেই ছিলেন।

তাহমিনা শিরীন বলেন, তারা প্রত্যেকেই ভালো আছেন। এ নিয়ে উদ্বেগের কিছুই নেই।

তবে এর আগে নতুন এই ভ্যারিয়েন্টটি ভারতে শনাক্তের পর দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। এতে ভারতজুড়ে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম থেকে পাওয়া সবশেষ তথ্যানুযায়ী, দেশটিতে জেএন.১ উপধরন শনাক্ত হওয়া রোগীর সংখ্যা ১ হাজার ২২৬ জন। কর্ণাটক ও অন্ধ্রপ্রদেশে আক্রান্তের সংখ্যা বেশি। ১৭টি রাজ্যে ভ্যারিয়েন্টটি ছড়িয়ে পড়েছে।

এদিকে দেশে আবারও করোনার সংক্রমণ বাড়তে থাকায় দ্রুত টিকা দিতে নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন ব্যবস্থাপনা টাস্কফোর্স বিভাগের সদস্য সচিব ডা. মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশনা দিয়ে বলা হয়েছে, দেশব্যাপী করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে ফাইজার কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন কার্যক্রমের ১ম, ২য় এবং বুস্টার ডোজ (৩য়, ৪র্থ ডোজ) বিতরণ এবং প্রদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। শিগগিরই কোভিড-১৯ টিকাদান কার্যক্রম শুরু করতে হবে।

নির্দেশনায় আরও বলা হয়, ভ্যাকসিন প্রদানের ক্ষেত্রে সম্মুখসারির স্বাস্থ্যকর্মী, ৬০ বছর এবং তদূর্ধ্ব বয়সী জনগোষ্ঠী, দীর্ঘমেয়াদী রোগে আক্রান্ত ১৮ বছর এবং তদূর্ধ্ব বয়সী জনগোষ্ঠী, স্বল্প রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন প্রাপ্ত বয়স্ক (১৮ বছর এবং তদূর্ধ্ব) জনগোষ্ঠী ও গর্ভবতী নারীদের প্রাধান্য দেওয়া হবে।