এক ম্যাচে এত ছক্কা দেখেনি আর কেউ

কলকাতা নাইট রাইডার্স ২৬১ রান করার পর ভেবেছিলো, এবার তাদের জয় সম্ভবত আর ঠেকাতে পারবে না কেউ। কিন্তু এবারের আইপিএল যে ভিন্ন এক আবহ নিয়ে হাজির হয়েছে দর্শকদের সামনে! এখানে বোলারদের কোনো কিছুই করার নেই। নিয়মতান্ত্রিকভাবে বল করতে হবে এর বেদম পিটুনি খেতে হবে।

কলকাতার বোলারদের সম্ভবত এই বাজে অভিজ্ঞতাটা হলো সবচেয়ে বেশি। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড যে তাদের বিপক্ষেই হয়ে গেলো! পাঞ্জাব কিংসের ব্যাটাররা শুক্রবার রাতে নির্দয়ভাবে পিটিয়েছে কেকেআরের বোলারদের।

শুধু কেকেআরের বোলাররা তো একা পিটুনি খায়নি। পিটুনি খেয়েছে পাঞ্জাব কিংসের বোলাররাও। কেকেআর প্রথমে ব্যাট করে যে ২৬১ রানের বিশাল স্কোর গড়েছে, তখন তো অসহায়ই মনে হচ্ছিলো পাঞ্জাব বোলারদের।
রেকর্ড রান তাড়া করার ম্যাচে রেকর্ড হয়েছে আরও অনেকগুলো। টি-টোয়েন্টির এক ম্যাচে সর্বাধিক ছক্কা মারার রেকর্ডও হলো এই ম্যাচে।

আইপিএলে এতদিন সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড ছিল ২২৪ রানের। রাজস্থান রয়্যালসই কয়েকদিন আগে কেকেআরের বিপক্ষে এই রেকর্ড গড়েছিলো। এবার সেই কেকেআরের বিপক্ষেই সর্বোচ্চ রান তাড়া করার রেকর্ড গড়লো পাঞ্জাব।

টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ইতিহাসে এক ম্যাচে সর্বোচ্চ ছক্কা মারার ঘটনা ঘটেছে কেকেআর-পাঞ্জাব ম্যাচে। গত মাসেই সানরাইজার্স হায়দরাবাদ এবং মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স ম্যাচে ৩৮টি ছক্কার মার মেরেছিলো ব্যাটাররা। গত সপ্তাহে রয়েল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু এবং সানরাইজার্স হায়দারাবাদ ম্যাচেও ৩৮টি ছক্কার মার মারা হয়েছিলো।

পাঞ্জাব কিংস এবং কেকেআরের ম্যাচে মোট হয়েছে ৫টি ৫০ প্লাস স্কোর। প্রতিটি হাফ সেঞ্চুরিই হয়েছে ২০০ প্লাস স্ট্রাইক রেটে। ফিল সল্ট (২৫ বলে), নারিন (২৩ বলে), প্রাবশিরাম (১৮ বলে), বেয়ারেস্ট (২৩ বলে) এবং শশাঙ্ক সিং (২৩ বলে) – খেলেন পঞ্চাশোর্ধ্ব ইনিংস। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ইতিহাসে এক ম্যাচে এতগুলো হাফ সেঞ্চুরি হলো, যার প্রতিটি ২৫ কিংবা তারও কম বলে। এমন ঘটনা এই প্রথম ঘটলো