আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে প্রথমবারের মতো টি-২০ সিরিজ জয়

প্রথমবারের মতো আফগানিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতলো টাইগাররা। সিলেট বিভাগীয় স্টেডিয়ামে ৬ উইকেটের জয় দিয়ে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই সিরিজ নিশ্চিত করেছে সাকিব আল হাসানের দল।

বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে ১১৯ রানের লক্ষ্য তাড়ায় নেমে উড়ন্ত সূচনা করেন দুই ওপেনার লিটন কুমার দাস ও আফিফ হোসেন। উদ্বোধনী জুটিতে তারা গড়েন ৬৭ রানের জুটি। এরপর মাত্র ১ রানের ব্যবধানে ফেরেন তারা। লিটন আউট হওয়ার আগে ৩৬ বলে ৬টি বাউন্ডারির সাহায্যে করেন ৩৫ রান। ২০ বলে দুই ছক্কায় ২৪ রানে ফেরেন আফিফ হোসেন।

দুই ওপেনার আউট হওয়ার পর ব্যাটিংয়ে নেমে সুবিধা করতে পারেননি নাজমুল হোসেন শান্ত। তিনি বোল্ড হওয়ার আগে ৬ বলে ৪ রানে ফেরেন।

শান্তর আউটের পর সাকিবের সাথে ৩১ রানের জুটি গড়েন তাওহীদ হৃদয়। ম্যাচে জয় যখন অনেকটাই নিশ্চিত তখন ১৭ বলে ১৯ করা তাওহীদ হৃদয় আউট হন। তবে এরপর আর কোনো অঘটন ঘটেনি। শামীম হোসেনকে সাথে নিয়ে ম্যাচ জিতিয়ে ফেরেন সাকিব আল হাসান।

আফগানিস্তানের পক্ষে ২ টি করে উইকেট নেন মুজিবুর রহমান ও আজমতুল্লাহ ওমরজাই।

রবিবার (১৬ জুলাই) সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে ৭ উইকেট হারিয়ে ১১৬ রান করে আফগানিস্তান ক্রিকেট দল।

টসে হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমেই তাসকিনের আগ্রাসনে ১৬ রানেই দুই ওপেনারের উইকেট হারায় সফরকারীরা। এরপর দলের হাল ধরেন ইব্রাহিম জাদরান ও মোহাম্মদ নবি। ৭.২ ওভারে আফগানদের সংগ্রহ ছিল ৩৯/২ রান। ২০ বলে ১১ এবং ১৪ বলে ১১ রানে অপরাজিত ইব্রাহিম জাদরান ও মোহাম্মদ নবি। সন্ধ্যা ৬.৩৬ মিনিটে শুরু হয় বৃষ্টি। বৃষ্টির কারণে খেলা বন্ধ ছিল প্রায় দুই ঘণ্টা।

বৃষ্টি থেমে গেলে রাত সোয়া ৮টায় শুরু হয় খেলা। দীর্ঘ সময় খেলা বন্ধ থাকায় ম্যাচের দৈর্ঘ্য কমে যায় ৩ ওভার। বৃষ্টির পর খেলতে নেমে সুবিধা করতে পারেনি আফগানরা। ২৮ রান তুলতে হারায় ৩ উইকেট। বৃষ্টির পর খেলা শুরু হলে প্রথম আঘাত হানেন পেসার মোস্তাফিজুর রহমান। তার বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন দুইবার জীবন পাওয়া মোহাম্মদ নবি। সাজঘরে ফেরার আগে নবি ২২ বলে করেন ১৬ রান।

নবি আউট হওয়ার পর সাকিবের বলে শান্তর কাছে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ইব্রাহিম। ইব্রাহিম জাদরান আউট হওয়ার আগে ২৭ বলে ২২ রান করেন। একই ওভারে ৫ রান করে ফেরেন নজিবুল্লাহ। তার বিদায়ে ১১ ওভারে ৬৭ রানে পঞ্চম উইকেট হারায় আফগানরা।

ষষ্ঠ উইকেটে করিম জানাতের সাথে ২৯ বলে ৪২ রানের কার্যকরী জুটি গড়েন আজমতউল্লাহ ওমরজাই। ২১ বলে ২৫ করা আজমতউল্লাহকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙ্গেন মোস্তাফিজ। পরের ওভারে তাসকিনের তৃতীয় শিকার হন করিম জানাত। ১৫ বলে ২০ রান করে নাজমুল হোসেন শান্তর ক্যাচ হন তিনি। ম্যাচে তৃতীয় উইকেট পেলেন তাসকিন।