বিএনপির তিনদিনের অবরোধ কর্মসূচির শেষ দিন বৃহস্পতিবার শান্তিগঞ্জ উপজেলার পাগলা বাজারে গাড়ি ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের চেষ্টার অভিযোগ এনে এবার আরো একটি নাশকতার মামলা দায়ের করেছে শান্তিগঞ্জ থানা পুলিশ।
শুক্রবার (৩ নভেম্বর) শান্তিগঞ্জ থানার এসআই মো. আফাতাবউজ্জামান রিগ্যান বাদি হয়ে এই মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার ১ নম্বর আসামী পশ্চিম পাগলা ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি সাহিদ মিয়াকে (৩৫) গতকাল আটকের পর আজ শুক্রবার গ্রেপ্তার দেখিয়ে সুনামগঞ্জের আদালতে প্রেরণ করেছে থানা পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত সাহিদ মিয়া শান্তিগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম পাগলা ইউনিয়নের চন্দ্রপুর গ্রামের মৃত রশিদ মিয়ার ছেলে।
মামলা ও গ্রেপ্তারের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন শান্তিগঞ্জ থানার ওসি মো. খালেদ চৌধুরী। আসামিদের ধরতে অভিযান চলছে বলেও জানান তিনি।
মামলায় শান্তিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ফারুক আহমদকে ৪ নম্বর আসামী করা হয়েছে। এছাড়া শান্তিগঞ্জ উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য শহিদুল ইসলাম, শান্তিগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি রওশন খাঁন সাগর, পশ্চিম পাগলা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাস্টার শফিকুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক সহ-সভাপতি আনছার উদ্দিনের আপন দুই ভাই বিএনপির একাংশের সভাপতি আউয়াল উদ্দিন ও মনসুর উদ্দিনসহ ৩২ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ৪০-৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, বৃহস্পতিবার সকালে বিএনপির ডাকা ৩ দিনের অবরোধ কর্মসূচি পালনকালে বিএনপি-জামায়াতের শতাধিক নেতাকর্মী লাটিশোটা-রড নিয়ে সড়ক অবরোধ করে যানবাহন চলাচলে প্রতিবন্ধকতা তৈরী করেন। এসময় তারা একটি গাড়ি ভাংচুর করেন এবং গাড়িতে অগ্নিসংযোগের চেষ্টা ও মিছিল করেন। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ফোর্স ঘটনাস্থলে পৌঁছালে বিএনপি-জামায়াত নেতাকর্মীরা পালিয়ে যান। এসময় ধাওয়া করে ঘটনাস্থল থেকে মামলার এজাহারভুক্ত ১ নাম্বার আসামী পশ্চিম পাগলা ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি সাহিদ মিয়াকে আটক করা হয়।
এর আগে গত রোববার (২৯ অক্টোবর) বিএনপি-জামায়াতের ৪৯ জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে নাশকতার মামলা দায়ের করে শান্তিগঞ্জ থানা পুলিশ। ঐ মামলার এজাহারভুক্ত আসামি কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক সহ-সভাপতি ও সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আনছার উদ্দিনসহ ৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এদিকে আনছার উদ্দিন ও অন্যান্য নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার ও মামলার নিন্দা জানিয়েছেন শান্তিগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান ফারুক আহমদ।
তিনি বলেন, ‘নেতাকর্মীদের নামে মামলা ও গ্রেপ্তার করে বিএনপিকে কোণঠাসা করে রাখতে চায় সরকার। কিন্তু মামলা দিয়ে বিএনপিকে গনতন্ত্র পুনরুদ্ধারের এই আন্দোলন থেকে সরানো যাবে না। আমাদের আন্দোলন চলছে, চলবেই।’