সিলেটের বিশ্বনাথে বন্যায় কবলিত মানুষ বিশ্বনাথ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আশ্রয় নিতে এলে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন সুমন অর্ধশত বন্যার্ত মানুষকে আশ্রয় না দিয়ে পানি, বিদ্যুৎ, বাথরুমের লাইন বন্ধ করে চলে যান। বৃহস্পতিবার (২০ জুন) রাতে এ ঘটনা ঘটে। পরে এলাকাবাসী এসে তাদের কাদিপুর শাহজালাল পল্লী পরিষদ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আশ্রয় দেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বানবাসী নিপা বেগম, নিবন্ধ বিকাশ, শ্রমিক নেতা সুন্দর আলী, ইউনুছ আলী বলেন, ‘আমরা পানিবন্দি হওয়ায় পরিবার নিয়ে বিশ্বনাথ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আশ্রয় নিলে স্বাস্থ্য কর্মকর্তা দেলোয়ার সুমন এসে বিদ্যুৎ, পানি, বাথরুম বন্ধ করেন এবং আমাদের বিভিন্নভাবে হুমকি প্রদান করেন। শিশুরা পানির জন্য যখন কান্না করে তখন তাদেরকে বাধ্য হয়ে আমরা বন্যার পানি পান করতে দেই। আমরা তাৎক্ষনিক স্থানীয় ইউপি সদস্যের সাহায্য নিলে তিনিও ব্যর্থ হন। পরবর্তীতে স্থানীয় এলাকাবাসীর সহযোগীতায় আমরা সবাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে কাদিপুর শাহজালাল পল্লী পরিষদ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আশ্রয় নেই।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্থানীয় ইউপি সদস্য আফিজ আলী বলেন, ‘দেলোয়ার হোসেন সুমনকে আমি অনেক ভাবে বলেছি কিন্তু তিনি আমার কথা শুনেননি।’ বন্যা কবলিত মানুষ তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ এনেছেন তা সত্য। তিনি আমাকে ৩০ মিনিটের মধ্যে বন্যায় কবলিত মানুষকে নিয়ে চলে যেতে বলেন।’
এ ব্যাপারে বিশ্বনাথ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মহিবুর রহমান সুইট বলেন, ‘আমি এলাকা পরিদর্শন করেছি। উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেনের সুমনের কর্মকান্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’
এ বিষয়ে বিশ্বনাথ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা টিএইচও দেলোয়ার হোসেন সুমন বলেন, ‘আমার উপর আনিত অভিযোগ মিথ্যা, বানোয়াট এবং উদ্দেশ্য প্রনোদিত।’
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে চাইলে বিশ্বনাথ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিনা আক্তার বক্তব্য দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সিলেট ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা: জন্মেজয় দত্ত বলেন, ;এ বিষয়ে আমার কোনো কিছু জানা নেই।’