অবশেষে নেইমারের অসাধারণ গোলে এগিয়ে গেল ব্রাজিল। একই সাথে জয়ের পথে ছুটছে লাতিন আমেরিকার দলটি।
শুরুর ৪৫ মিনিটে ব্রাজিল নিজেদের ছন্দে ছিল না। বিরতির পর তিতের দল স্বরূপে ফিরল বটে, কিন্তু গোল সেই সোনার হরিণই রয়ে গেল। শুরুর ৪৫ মিনিটের মতো দ্বিতীয়ার্ধেও গোলের দেখা পাননি নেইমাররা। গোলশূন্য ৯০ মিনিট শেষে খেলা গড়িয়েছে যোগ করা অতিরিক্ত সময়ে।
গোলের খেলা ফুটবল, ব্রাজিল ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে গোল ছাড়া সব কিছুই করেছে নির্ধারিত ৯০ মিনিটে। অসংখ্য আক্রমণ করলেও কাঙ্ক্ষিত গোল পায়নি। এই গোল না পাওয়ার পেছনে ব্রাজিলের ব্যর্থতার চেয়ে ক্রোয়াটদের কৌশল এবং গোলরক্ষক লিভাকোভিচের দৃঢ়তা অন্যতম কারণ। পুরো ম্যাচে ক্রোয়াট গোলরক্ষক দুর্দান্ত বেশ কয়েকটি সেভ করেছেন। এর বিপরীতে ব্রাজিলের গোলরক্ষক অ্যালিসন বেকারকে সেই অর্থে পরীক্ষায় তেমন পড়তে হয়নি।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ক্রোয়েশিয়া একটি গোললাইন সেভ করে। বক্সের মধ্যে ওয়ান টু করে ঢুকে পড়েন নেইমাররা। ক্রোয়াট গোলরক্ষকের পাশ দিয়ে বল ঠেলে দেওয়া হয়েছিল দলটির গোলমুখে। বল গোললাইন অতিক্রম করার মুহূর্তে পা দিয়ে বল ঠেকান লিভাকোভিচ। এরপর আরেকটি দারুণ আক্রমণ ছিল ব্রাজিলের। সেই আক্রমণ চূড়ান্ত রুপ নেয়ার আগেই রেফারি খানিকটা রোমাঞ্চ তৈরি করেন। নেইমারকে দেয়া লম্বা বল ক্রোয়াট ডিফেন্ডার রিসিভ করতে গিয়ে হাত বাড়িয়ে দেন। রেফারি হ্যান্ডবলের সন্দেহ করেন। ভিএআর পেনাল্টি সম্ভাব্যতা বাছাই করে দেখে হ্যান্ডবল হয়নি।
ক্রোয়েশিয়া এর কিছুক্ষণের মধ্যেই কর্নার আদায় করে। আরেকটি আক্রমণে ব্রাজিলের রক্ষণকে পরাস্ত করে বাড়ানো ক্রসে মাথা ছোঁয়াতে ব্যর্থ হয় ক্রোয়াট ফুটবলাররা। ৫৫ মিনিটে বাম প্রান্ত দিয়ে আক্রমণ করে ব্রাজিল। রিচার্লিসনের বাড়ানো বলে বক্সের মধ্যে গোলরক্ষককে একা পেয়েছিলেন নেইমার। গোলরক্ষক এগিয়ে আসায় অ্যাঙ্গেল কমে যায়। নেইমার বল প্লেসিং করলেও গোলরক্ষকের পায়ে লাগে। ৫৫ মিনিটে তিতে খেলোয়াড় পরিবর্তন শুরু করেন। অ্যান্টনির পরিবর্তে রাফিনিয়াকে নামান তিতে। ভিনিসিয়াসের জায়গায় রদ্রিগো।
৬৬ মিনিটে ব্রাজিলের সামনে আবার বাধা হয়ে দাড়ান ক্রোয়াট গোলরক্ষক। ব্রাজিলের ফরোয়ার্ড একা পেয়েও সরাসরি গোলরক্ষকের শরীরের শট নেন। ৭৬ মিনিটে ব্রাজিল আবার ওয়ান টু করে বক্সে। এবার আগুয়ান গোলরক্ষককে বোকা বানাতে পারেননি নেইমার। চার মিনিট পর ব্রাজিলের সংঘবদ্ধ আক্রমণ। বক্সের মধ্যে কয়েকটি পাস খেলে আবারও গোলরক্ষক বরাবর শট। তিতে ৯০ মিনিটের মধ্যে তিন জন খেলোয়াড় পরিবর্তন করলেও ম্যাচের ফল পরিবর্তন করতে সক্ষম হননি। অন্য দিকে মদ্রিচের ক্রোয়েশিয়া জমাট রক্ষণ করে মাঝে মধ্যে ব্রাজিলের অর্ধে গিয়েছিল। সেই আক্রমণগুলো খুব জোরালো ছিল না। কোনো দল গোল করতে না পারায় ম্যাচটি গড়ায় অতিরিক্ত ৩০ মিনিটে। এর মধ্যেই নেইমারের অসাধারণ গোলে এগিয়ে যায় ব্রাজিল।