লড়াইটা ফাইনালে ওঠার

প্রস্তুতি সম্পন্ন। এবার মাঠে নামার পালা। লড়াইটা ফাইনালে ওঠার। লড়বে আর্জেন্টিনা এবং ক্রোয়েশিয়া। আজ মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) রাত ১টায় লুসাইল আইকনিক স্টেডিয়ামে গড়াবে দুই দলের এবং বিশ্বকাপের প্রথম সেমিফাইনাল।

পরিসংখ্যান বিবেচনায় দুই মহাদেশের দুই দলের মধ্যে পার্থক্য বিস্তর। যেখানে একচেটিয়া আধিপত্য আর্জেন্টিনার। ধরা যাক, বিশ্বকাপের কথা। ফিফার মেগা ইভেন্টে পাঁচবারের ফাইনালিস্ট লা আলবিসেলেস্তেরা এবং দুইবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন।

লাতিনের পরাশক্তিরা প্রথমবার শিরোপার স্বাদ পায় ১৯৭৮ সালে। দ্বিতীয়বার ১৯৮৬ সালে। তখন থেকে প্রতিবার ক্ষুধা না মিটিয়েই ফুটবলের গ্রেটেজ শো থেকে বিদায় নিয়ে হয় আর্জেন্টিনার। বিপরীতে মাত্র একবার ফাইনাল খেলেছে ক্রোয়েশিয়া।

বিশ্বকাপের সবশেষ সংস্করণে ফাইনাল খেললেও রানার্সআপ ট্রফিতে সন্তুষ্ট থাকতে হয় ক্রোয়াটদের। এবার একই কোচ দালিচ এবং একই অধিনায়ক লুকা মদ্রিচের অধীনে ব্যাক-টু-ব্যাক ফাইনাল খেলার স্বপ্নে বিভোর ইউরোপের দলটি।

তবে আজ যেকোনো এক মহাদেশেরই স্বপ্ন পূরণ হবে। দুই দলের শক্তি-সামর্থ্য নিচ্ছে আর্জেন্টিনার পক্ষ। কোনো বিভাগেই শক্তির ঘাটতি নেই লিওনেল স্কালোনির স্কোয়াডে। অপরদিকে, ক্রোয়েশিয়া শিবিরে এক মদ্রিচ বাদে তারকা খুঁজে পাওয়া কঠিন।

দালিচের দল বিশ্বকাপে টিকে আছে শক্তিশালী রক্ষণ আর অন্যদের অদম্য মানসিক শক্তিতে, বিশেষ করে গোলরক্ষক লিভাকোভিচের কল্যাণে। এর বাস্তব প্রমাণ পাওয়া যাবে ক্রোয়েশিয়ার সবশেষ দুই ম্যাচে তাকালেই। শেষ ষোলো এবং কোয়ার্টার ফাইনাল, দুটোতেই টাইব্রেকারে পার পেয়ে গেছে তারা।

গ্রুপপর্ব আর নকআউটের ম্যাচগুলোতে মোটেও আগ্রাসী ভাব দেখা যায়নি ক্রোয়াটদের মাঝে। তবে ফাইনালে উঠার মিশনে গতিশীল ফুটবল খেলবে বলেই প্রত্যাশা কোচ দালিচের, ‘আমরা কেউই কোনো ছাড় দিব না। আমি উভয় পক্ষ থেকে একটি কঠিন, গতিশীল এবং ভালো মানের খেলা আশা করছি।’

অপরদিকে, আর্জেন্টিনা কোচ স্কালোনি বলেছেন, ‘আমরা একটি কঠিন ম্যাচ আশা করছি এবং এটি সত্যিই একটি ভালো দলের বিপক্ষে। তারা সঠিক একটি দল, তারা দল হিসেবে খেলে এবং সবকিছু চ্যালেঞ্জিং করে তুলবে। এটি একটি কঠিন খেলা হবে।’