বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিষ্টার এম. শাহজাহান ওমর (বীর উত্তম) বলেছেন, আওয়ামী লীগের অধীনে যে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয় তা এখন আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। গতকাল ঢাকা-১৭ আসনে বিরোধী দলবিহীন নির্বাচনে ইউটিউবার হিরো আলমের সাথেও নির্বাচনে হেরে যাচ্ছে দেখে তার উপর নগ্নভাবে হামলা করেছে। তারা বিএনপি তো বটেই হিরো আলমের জনপ্রিয়তাকেও ভয় পায়। এখন আওয়ামী লীগের থেকে হিরো আলমের জনপ্রিয়তা বেশী। গতকালের প্রহসনের নির্বাচনে প্রমাণিত হয়েছে কোনদিনও আওয়ামী লীগের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। এখন সারা বিশ্বের সকল গণতন্ত্রকামী রাষ্ট্রও বাংলাদেশের মুক্তিকামী মানুষের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। দেশের মজলুম জনতার বিজয় সুনিশ্চিত।
মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) বিকেলে এক দফা দাবিতে বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচি শেষে আয়োজিত সংক্ষিপ্ত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপির আয়োজনে রেজিস্ট্রারী মাঠ থেকে পদযাত্রা কর্মসূচি শুরু হয়ে নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সম্মূখে গিয়ে শেষ হয়।
শাহজাহান ওমর আরো বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার দেশ পরিচালনায় সর্বক্ষেত্রে ব্যার্থতার পরিচয় দিয়েছে। তারা জনগণের ভোটাধিকার, বাকস্বাধীনতাসহ সকল মৌলিক অধিকার হরণ করেছে। দেশের সাধারণ মানুষ অনাহারে অর্ধাহারে দিনাতিপাত করছে। কিন্তু সরকার জনগনের মুখের ভাষা বুঝতে পারছে না।
আওয়ামী লীগ দেশকে গভীর সংকটের দিকে ঠেলে দিয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, এই সরকারের পদত্যাগ ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দেয়া ছাড়া দেশকে সংকট মুক্ত করা সম্ভব নয়। তাই এখন আর মৌলিক দাবী দাওয়া নিয়ে আন্দোলন নয়, এখন দাবী আমাদের একটাই। অভিলম্বে ফ্যাসিস্ট সরকারকে পদত্যাগ করে একটি নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন দিতে হবে। এই দাবী আদায় না হওয়া পর্যন্ত বিএনপির কোন নেতাকর্মী রাজপথ ছাড়বে না।
সিলেট মহানগর বিএনপির সভাপতি নাসিম হোসাইনের সভাপতিত্বে, সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী ও মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরীর সঞ্চালনায় প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির।
পদযাত্রা কর্মসূচিতে সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপি এবং অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দের মধ্য উপস্থিত ছিলেন- এড. আশিক উদ্দিন আশিক, মিফতা সিদ্দিকী, হাজী শাহাব উদ্দিন আহমদ, ফখরুল ইসলাম ফারুক, একেএম তারেক কালাম, ইকবাল বাহার চৌধুরী, শহিদ আহমদ (চেয়ারম্যান), মাহবুবুর রব চৌধুরী ফয়সল, সৈয়দ মিসবাহ উদ্দিন, সুদিপ রঞ্জন সেন বাপ্পু, সৈয়দ মঈনুদিন সুহেল, নাজিম উদ্দিন লস্কর, গোলাম রব্বানী, নজিবুর রহমান নজিব, ইকবাল আহমদ, সামিয়া বেগম চৌধুরী, লিলু মিয়া, ইশতিয়াক আহমদ সিদ্দিকী, এড. হাসান আহমদ পাটোয়ারী রিপন, সিদ্দিকুর রহমান পাপলু, তাজরুল ইসলাম তাজুল, আনোয়ার হোসেন মানিক, এড. আবু তাহের, সৈয়দ সাফেক মাহবুব, হুমায়ূন আহমদ মাসুক, মুর্শেদ আহমদ মুকুল, নিজাম উদ্দিন তরফদার, শাহ নেওয়াজ বক্ত চৌধুরী তারেক, এড. সাঈদ আহমদ, আবুল কাশেম, রফিকুল ইসলাম শাহপরান, আব্দুল আহাদ খান জামাল, মাহবুবুল হক চৌধুরী, শাকিল মোর্শেদ, এড. মুজিবুর রহমান, মো: আমীর হোসেন, নিহার রঞ্জন দাস, আফজাল উদ্দন, আখতার রশিদ চৌধুরী, আবুল কালাম, আব্দুল ওয়াহিদ সুহেল, শামীম আহমদ, শফিকুর রহমান, মুশিকুর রহমান মুহি, রেজাউল করিম নাচন, এড. আল আসলাম মুমিন, তাজ উদ্দিন মাসুম, সদিকুর রহমান সাদিক, মোঃ বদরুদোজা বদর, মোঃ লুৎফুর রহমান মোহন, লুৎফুর রহমান চৌধুরী, শেখ মোঃ কবির মিয়া, মো: আব্দুল হাকিম, নাদির খান, আবুল ওয়াদুদ মিলন, শুয়াইব আহমদ সোয়ের, লোকমান আহমদ, তাজ মোঃ ফখর উদ্দিন, আব্দুল আহাদ, আব্দুর রহমান, এড. বদরুল আহমদ চৌধুরী, এম. মুজিবুর রহমান, এড. মোস্তাক আহমদ, নুমান উদ্দিন মুরাদ, শরিফুল হক, আলী আকবর, আজিজুর রহমান, জালাল খান, মাহবুব আলম, এড. আহমেদ রেজা, বাদশা আহমদ, অর্জুন ঘোষ, মনিরুল ইসলাম তুরন, আহাদ চৌধুরী শামীম, সুদিপ জ্যোতি এষ, শাহীন আলম জয়, এড. ওবায়দুর রহমান ফাহমী, কুমকুম ফাহিমা, সুলতানা রহমান দিনা, ফজলে আহসান রাব্বী, দেলোয়ার হোসেন দিনার, আহমদ সোলায়মান চেয়ারম্যান প্রমুখ।