টিকে থাকতে হলে ম্যাচ জয়ের বিকল্প নেই—এমন সমীকরণ নিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভ পর্বে মুখোমুখি হয়েছিল অস্ট্রেলিয়া-আয়ারল্যান্ড। ম্যাচে আইরিশদের ৪২ রানে হারিয়ে সেমির স্বপ্ন বাঁচিয়ে রেখেছে অস্ট্রেলিয়া।
ইনিংসের শুরুতেই উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া। ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার মাত্র ৩ রানে বিদায় হন, দলীয় রান তখন ৮। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে মিচেল মার্শ ও অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ দুজন মিলে ৫২ রানের জুটি গড়েন। দলের ৬০ রানে মার্শ ২২ বলে ২৮ রান করে আউট হন।
দলের ৮৪ রানে গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ১৩ রানে ফেরেন। তার বিদায়ের পর ফিঞ্চ জুটি বাধেন মার্কাস স্টয়নিসের সাথে। এই জুটি ভাঙে দলের ১৫৪ রানে। অধিনায়ক ৪৪ বলে ৬৩ রানে আউট হন। তার ইনিংসে পাঁচটি চার ও তিনটি ছয় ছিল। আর ৬ রানের ব্যবধানে স্টয়নিসও ২৫ বলে ৩৫ রানে ফেরেন। শেষদিকে টিম ডেভিড ও ম্যাথু ওয়েডের কল্যাণে ৫ উইকেটে ১৭৯ রান করে থামে অজিদের ইনিংস।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ১৮ রানে অধিনায়ক অ্যান্ডি বালবার্নি প্যাট কামিন্সের বলে বিদায় হন। অধিনায়কের বিদায়ের পর সবাই যেন তার পদ অনুসরণ করা শুরু করেন। একের পর এক উইকেটের পতন হতে থাকে তাদের। ২৫ রানের মধ্যে প্রথম সারির পাঁচ ব্যাটারকে হারিয়ে বিপাকে পড়ে দলটি।
তবে লোরকান টাকার স্রোতের বিপরীতে একপ্রান্ত আগলে খেলতে থাকেন। গ্যারেথ ডিলানি তাকে সঙ্গ দিয়ে যাচ্ছিলেন। তবে দলীয় ৬৮ রানে ডিলানি ১০ বলে ১৪ রানে ফেরেন। মার্ক অ্যাডায়ার দলের ১১ রানে আউট হন। শেষদিকে আইরিশরা জয়ের আশা দেখালেও তাদের থামতে হয় ১৩৭ রানে। টাকার একাই ৪৮ বলে ৭১ রান করেন।
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে জিতে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থাকা নিউজিল্যান্ডের সমান ৫ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে অস্ট্রেলিয়া। টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে উঠে সেমিফাইনালের দৌঁড়ে টিকে থাকল বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।