বিশ্বকাপের পর ক্যাম্প ন্যুয়ে প্রথম ম্যাচে মাঠে নেমেছিল বার্সেলোনা ও এস্পানিওল। অনেক দিন পর লিগ ম্যাচে মাঠে নামায় দুই নগর প্রতিদ্বন্দ্বীর খেলোয়াড়েরা ফুটবল ভুলে যেন শরীরী খেলায় বেশি ঝুঁকে পড়েছেন। এই ম্যাচে ফুটবলার ও কোচিং স্টাফসহ ১৮টি কার্ড দেখিয়েছেন রেফারি লাহোস। লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন দুই দলের দুই খেলোয়াড়। এই বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনা ও নেদারল্যান্ডসের কোয়ার্টার ফাইনালে বাজে ম্যাচ পরিচালনার জন্য সমালোচিত হয়েছিলেন লাহোস।
উত্তপ্ত ম্যাচে জয় পায়নি কোনো দল। ১-১ গোলে ড্র নিয়ে মাঠ ছেড়েছে দুই দল। তবে ড্র করেও পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠে বসেছে কাতালানরা। ১৫ ম্যাচে ৩৮ পয়েন্ট বার্সার। সমান ম্যাচে সমান পয়েন্ট হলেও গোল ব্যবধানে পিছিয়ে থেকে দুইয়ে রিয়াল মাদ্রিদ। ১৩ পয়েন্ট নিয়ে ১৬তম স্থানে এস্পানিওল।
ফুটবল কিংবদন্তি পেলেকে স্মরণে এক মিনিট নীরবতা দিয়ে শুরু হয় ম্যাচ। ঘরের মাঠে ৭ মিনিটে ডিফেন্ডার আন্দ্রেস ক্রিস্টেনসেনের পাস থেকে বার্সাকে এগিয়ে নেন মার্কোস আলোনসো। কর্নার থেকে ক্রিস্টেনসেনের হেডে বল পান আলোনসো। ছুটে গিয়ে আরেকটি হেডে জাল খুঁজে নেন স্প্যানিশ ডিফেন্ডার। লা লিগায় আলোনসোর প্রথম গোল এটি।
৭২ মিনিট পর্যন্ত সব ঠিকঠাকই চলছিল। এস্পানিওলের পেনাল্টি ঘিরে পাল্টে যায় সব, দুই দলের বেঞ্চের খেলোয়াড়দেরও হলুদ কার্ড দেখান রেফারি। বাদ যাননি বার্সেলোনা কোচ জাভি হার্নান্দেসও। ৭৩ মিনিটে সফল স্পট কিকে এস্পানিওলকে ম্যাচে সমতায় ফেরান হোসেলু। গোলের পর দুই মিনিটের মধ্যে তিনি দেখান পাঁচটি হলুদ কার্ড। ৭৮ মিনিটে রেফারির সঙ্গে কথা বলতে গেলে জর্দি আলবাকে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখান রেফারি। বার্সেলোনা পরিণত হয় ১০ জনের দলে। ৮০ মিনিটে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখান সোসাকে। ১০ জনের দলে পরিণত হয় এস্পানিওলও।