আদালতে হাজিরা দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে শান্তিগঞ্জ উপজেলার শিমুলবাঁক ইউনিয়নের ২ যুবকের উপর বর্বরোচিত হামলার ঘটনা ঘটেছে। হামলায় ইউনিয়নের রঘুনাথপুর গ্রামের মাহমুদ আলীর ছেলে মুহিবুর রহমান মানিক (৩২) ও একই গ্রামের মো. শামছুন নুর মিয়ার ছেলে মো. ছনি মিয়া (২৬) গুরুতরভাবে আহত হয়েছেন।
সোমবার (৩ জুলাই) বিকালে সুনামগঞ্জ থেকে শান্তিগঞ্জে নিজগ্রামে ফেরার পথে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার হালুয়ারগাঁও সংলগ্ন ছেঁচনিখাড়ার সেতুতে হামলার শিকার হন তারা।
আহত মুহিবুর রহমান মানিক জানান, ২০২০ সাল থেকে আমাদের গ্রামের তোতা মিয়ার ছেলে মতিউর রহমান মতির (৩৫) সাথে আমাদের একটি মামলা চলমান আছে। এ মামলায় হাজিরা দিতে আজ আমরা আদালতে এসেছিলাম। মহামান্য আদালত আমাদের জামিন মঞ্জুর করায় প্রতিপক্ষ ব্যক্তিরা আমাদের উপর চরমভাবে ক্ষুদ্ধ হয়। বাড়ি ফেরার পথে দুইটা সিএনজি নিয়ে এসে ছেঁচনিখাড়া সেতুর উপর রাস্তা অবরোধ করে তারা আমাদের উপর হামলা করে। এসময় তাদের হাতে থাকা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আমাদের এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। এতে আমি এবং আমার চাচা মো. ছনি মিয়া (২৬) গুরুতর আহত হয়েছি। আমরা এখন সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছি।
হামলায় মতিউর রহমান মতি, তার ভাই আবদুস সালাম, একই গ্রামের মৃত হাসিদ উল্লাহ’র ছেলে হাবিব মিয়া (৪০), আপ্তাবুলের ছেলে রাজু মিয়া (২৬), পারভেজ মিয়া (২৪), মাসুক মিয়ার ছেলে মাসুম মিয়া (২২), মোস্তফা মিয়ার ছেলে অজুদ মিয়া (৩৮) ও শহরের আরও কিছু লোকসহ ১০/১২ জন সন্ত্রাসী দুজনের উপর হামলা চালায় বলে জানান মুহিবুর রহমান মানিক।
অভিযুক্ত মতিউর রহমান ওরফে মতি বলেন, মানিক এবং ছনি আমার একটি মামলার আসামী। আমরা একই গ্রামের। আজ আমাদের মামলার তারিখ ছিলো। তারা হাজিরা দিয়েছে। তারা আমার আগে বাড়ি যাচ্ছিলো। পরে আমিও যাচ্ছিলাম। বাড়ি যাওয়ার পথে হালুয়ারগাঁওয়ের ছেঁচনিখাড়ার সেতুতে এসে দেখি কিছু মানুষের ভীড়। আমি নেমে পড়ি। সেখানে দেখি আমার মামলার আসামী দু’জন আহত অবস্থায় পড়ে আছে। স্থানীয় লোকদের মাধ্যমে জানতে পারি শহরের কিছু লোকজন তাদের হামলা করেছে। আমি এখানে নেমে যাওয়ার কারণে আহতরা মনে করছেন আমিই হামলা করিয়েছি।
সুনামগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী হামলার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এমন একটি ঘটনার খবর আমরা পেয়েছি। তবে এ ঘটনায় কেউ কোনো অভিযোগ করেননি।