সিলেট জেলার কয়েকটি থানা এলাকায় রাতভর পৃথক অভিযান চালিয়ে একাধিক মামলার আসামি ৪ ডাকাতকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃত চারজন হলো, বিশ্বনাথের লামাকাজি দুর্লভপুর এলাকার রুশন আলীর ছেলে মো. বশির উদ্দিন (৪৮), ওসমানীনগরের বুরুঙ্গা এলাকার পিয়ারাপুর গ্রামের লালা মিয়ার ছেলে ফয়ছল মিয়া (৩৬), একই উপজেলার চর ইশবপুর গ্রামের ইশাদ উল্লাহ’র ছেলে সুহেল ডাকাত ওরফে গুলি সুহেল (৩৫), বিয়ানীবাজারের উত্তর দুভাগ গ্রামের মৃত তজম্মুল আলীর ছেলে জুবের আহমদ (৩৩)।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, সিলেট জেলা পুলিশের সহকারি পুলিশ সুপার (মিডিয়া ফোকাল পয়েন্ট কর্মকর্তা) মো. সম্রাট তালুকদার।
তিনি জানান, শনিবার দিবাগত রাতে সিলেটের বিশ্বনাথ থানা পুলিশের একটি দল বিশেষ অভিযান চালিয়ে ডাকাতি ও মারামারিসহ ৭টি মামলা আসামি মো. বশির উদ্দিনকে তার নিজ বাড়ি লামাকাজি দুর্লভপুর থেকে গ্রেপ্তার করে। তার বিরুদ্ধে থানার মামলা নং-১১, তারিখ-২৮/১২/২৩ খ্রিঃ ধারা-৩৯৯/৪০২।
একই টিম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ওসমানীনগর থানার বুরুঙ্গা ইউনিয়নের পিয়ারাপুর থেকে একই মামলার সন্দেহভাজন আসামি ফয়ছল মিয়াকে গ্রেপ্তার করে। তার বিরুদ্ধেও ডাকাতিসহ একাধিক মামলা চলমান আছে। তারা আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য।
সহকারি পুলিশ সুপার (মিডিয়া ফোকাল পয়েন্ট কর্মকর্তা) মো. সম্রাট তালুকদার জানান, জকিগঞ্জ থানা পুলিশের অপর একটি দল অভিযান চালিয়ে সম্পত্তি সংক্রান্ত অপরাধে জড়িত সন্দেহভাজন আসামি জুবের আহমদকে বিয়ানীবাজার উপজেলার উত্তর দুভাগ থেকে গ্রেপ্তার করে। তার বিরুদ্ধে থানার মামলা নং-০৫, তারিখ-১৪/১২/২০২৩খ্র্রি. ধারা- ৩৯৫/৩৯৭।
এছাড়া একই তারিখে ওসমানীনগর থানা পুলিশের একটি দল রাতভর অভিযান পরিচালনা করে উপজেলার চর ইশবপুর থেকে দুর্ধর্ষ ডাকাত সুহেল মিয়া ওরফে গুলি সুহেলকে গ্রেপ্তার করে। তার বিরুদ্ধে বিয়ানীবাজার থানার মামলা নং-০৩/১৭০, তারিখ- ০৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৪; ধারা- ৩৯৫/৩৯৭ পেনাল কোড। এছাড়া সুহেল আরও কয়েকটি মামলার আসামি।
আসামিদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানান সিলেট জেলা পুলিশের সহকারি পুলিশ সুপার (মিডিয়া ফোকাল পয়েন্ট কর্মকর্তা) মো. সম্রাট তালুকদার।