বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা সরকার পতনের এক দফা কর্মসূচিতে উত্তাল সিলেট। থমথমে পরিস্থিতিতে সিলেট থেকে দুরপাল্লার কোনো যান ছেড়ে যায়নি। রোববার (৪ আগস্ট) সকাল থেকে ঢাকাসহ দেশের কোনো জেলা থেকে সিলেটেও কোনো বাস প্রবেশ করেনি।
সিলেট জেলা বাস-মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ময়নুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এছাড়াও মানুষের মধ্যে আতঙ্ক থাকায় সিলেটের অভ্যন্তরীন সড়কেও যান চলাচল তুলনামূলক কম বলে জানান তিনি।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চলমান অসহযোগ আন্দোলনের কারণে রোববার (৪ আগস্ট) সকাল থেকে সিলেট নগরীর বিভিন্ন সড়কে যান চলাচল একেবারে কম ছিল। বিভিন্ন এলাকায় দোকানপাটও বন্ধ ছিল। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাসা থেকে বের হননি।
সিলেটের বাইরে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের অবস্থাও একই ছিল। সকাল থেকে সিলেট থেকে দূরপাল্লার কোনো বাস ছেড়ে যায়নি। সিলেটেও কোনো বাস প্রবেশ করেনি।
দুপুর ১২টার দিকে সিলেট নগরীর বন্দরবাজারে পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষ শুরু হলে চারদিকে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এতে জনশূন্য হেয়ে পড়ে সিলেট।
এদিকে, দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ খাকায় দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা। অনেকে সিলেট কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে গিয়ে অপক্ষো করতে দেখা গেছে।
নাসিম আলম আশফাক নামে এক বেসরকারি চাকুরিজীবী বলেন, ‘ছুটিতে সিলেট এসেছিলাম৷ ঢাকা যাত্রাবাড়ি যাওয়ার জন্য সকালে স্টেশনে এসে দেখি কোনো বাস ছাড়ছে না। বাসায়ও ফিরে যেতে পারছি না। সিলেটে থেমে থেমে সংঘর্ষ হচ্ছে শুনেছি। এখন এখানেই বসে থাকতে হবে।’
নাহিদ আহমদ নামে এক তরুণ সিলেট ভয়েসকে বলেন, জরুরী কাজে হবিগঞ্জ যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বাস চলাচল না করায় যাওযা সম্ভব হয়নি।
সিলেট জেলা বাস-মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ময়নুল ইসলাম বলেন, সকাল থেকে সিলেটের বাইরে কোনো বাস ছেড়ে যায়নি। দূরপাল্লার সকল ধরণের যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। মানুষের মধ্যে আতঙ্ক থাকায় অভ্যন্তরীন যান চলাচলও কম রয়েছে বলে জানান তিনি।